৫ ভুলে সমস্যায় পড়তে পারেন ডায়াবেটিসের রোগীরা ছবি: সংগৃহীত।
ঘরে ঘরেই এখন ডায়াবিটিস। কমবয়সিদের মধ্যেও বাড়ছে এই রোগ। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত চিন্তা-ভাবনা, ওজন বৃদ্ধি, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণেই বাড়ছে ডায়াবিটিস। এই রোগে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ইনসুলিন উৎপাদনে সমস্যা তৈরি হয়। ফলে ডায়াবিটিস ধরা পড়লে খাদ্যতালিকা নিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়। অতিরিক্ত চিনি, শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়া যায় না।
অনেক সময়ে ওষুধ খেয়েও ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না। খুব সাধারণ ভুল থাকতে পারে এর পিছনে। জেনে নিন কোন কোন বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
সঠিক সময়
নির্দিষ্ট সময় খাবারের অভ্যাস করলে ডায়াবিটিস রোগীদের শরীর তুলনায় বেশি সুস্থ থাকতে পারে। অনেকেরই দুপুর হোক বা রাত, খাবারের সময়ের ঠিক থাকে না। দুপুর দুটোয় খাবওয়ার অভ্যাস করলে প্রতি দিন সেটিই অনুসরণ করুন। রাতেও তাই। তবে বেশি রাত না করাই ভাল। নির্দিষ্ট সময়ে খেলে শরীরও সেই সময়-ঘড়িতেই অভ্যস্ত হয়ে যায়।
অতিরিক্ত শর্করা নয়
খাবারের তালিকায় বুঝে নেওয়া দরকার কোনটি সরল কার্বোহাইড্রেট ও কোনটিতে জটিল কার্বোহাইড্রেট থাকে। স্বাস্থ্যের কথা ভাবলে, জটিল কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবার তালিকায় রাখা দরকার। যেমন একটি খান বা দু’টি, ময়দার রুটি বা লুচি বর্জন করতে হবে। বদলে আটা দিয়ে তৈরি রুটি খাওয়া উচিত। পাউরুটি কোনও সময় খেলে সাদা পাউরুটির বদলে ব্রাউন ব্রেড খাওয়া যেতে পারে। বাজারচলতি চালের বদলে ব্রাউন রাইস বেশি উপকারী।
প্রোটিন ও ফাইবার জরুরি
ডায়াবেটিকদের খাদ্যতালিকায় স্বল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটের পাশাপাশি যথাযথ প্রোটিন ও একই সঙ্গে ফাইবার- সমৃদ্ধ খাবার থাকা দরকার। খাওয়া মানে যে কোনও কিছু খেয়ে পেট ভরানো নয়, সঠিক মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফাইবার জরুরি। খাবারে ওট্স, রাগির মতো দানাশস্য রাখুন। মুরগির মাংস, মাছ, ডাল এগুলোও যেন পাতে থাকে। তবে সমস্ত কিছু একসঙ্গে নয়, মাপ মতো।
অতিরিক্ত খাবার নয়
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি মানেই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার নয়। প্রোটিন, ফাইবার, শর্করার মাত্রা ঠিক থাকলেও মোট ক্যালোরি কতটা শরীরে যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কিনোয়া স্বাস্থ্যকর। তাই বলে শুধু সেই খাবারটা পেট পুরে খেয়ে ফেলা কাজের কথা নয়। বিশেষত রাতের খাবার সব সময়ে হালকা হওয়া উচিত।
মুখরোচক হলেও চিনিযুক্ত খাবার নয়
ডায়াবিটিসের রোগীদের মিষ্টি খাওয়া বারণ বলেই দেখা যায় মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ বেশি। অনেকে সরাসরি চিনি বা মিষ্টি না খেলেও, স্বাদের জন্য সস দিয়ে খাবার খান। অনেকেই মনে করেন শেষ পাতে এক চামচ চাটনি খেলে কী হবে? ‘এই সামান্য খাচ্ছি,’ বলেও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বিপদ ডেকে আনে। রক্তে শর্করার মাত্রা না কমার অন্যতম কারণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy