— প্রতীকী ছবি।
অ্যাসপারটেম নামক কৃত্রিম চিনি থেকে হতে পারে ক্যানসারের মতো মারণরোগ, সম্প্রতি ওয়াসিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এক মাস আগেই কৃত্রিম চিনির বহুল ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হু-এর ক্যানসার গবেষণা সংস্থা আগামী মাসেই অ্যাসপারটেমকে কার্সিনোজেন (ক্যানসার সৃষ্টিকারী যৌগ) বলে ঘোষণা করবে। ১৯৮১ সালে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অ্যাসপারটেম ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। অনুমোদনের পর থেকে পাঁচ বার এর নিরাপত্তা পর্যালোচনা পর্ব চলেছে। ভারত-সহ আরও ৯০ টি দেশে এই কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয়। কোকো কোলার ডায়েট কোক, মার্স এক্সট্রা চুয়িংগামে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হয়। অ্যাসপারটেমে ক্যালোরির মাত্রা শূন্য। এক চামচ চিনির তুলনায় এটি ২০ গুণ বেশি মিষ্টি।
৯৫ শতাংশ কার্বোনেটেড নরম পানীয়তে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হয়। বাজারে যে সব ‘ইনস্ট্যান্ট টি’ বা তৈরি করা চা পাওয়া যায় তার মধ্যে ৯০ শতাংশতেই এই যৌগ থাকে। ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এফেসএসএআই) নির্দেশ অনুযায়ী যে খাবার কিংবা পানীয়তে অ্যাসপারটেম ব্যবহার করা হবে, তাদের বাইরের কভারে যৌগটির নাম অবশ্যই লিখতে হবে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই নরম পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এর বিরোধিতা শুরু করেছে। তাদের দাবি, এই খবরের প্রভাবে সাধারণের চিনি খাওয়ার প্রবণতা আরও বাড়বে, ফলে শরীরের আরও বেশি ক্ষতি হবে। তাদের দাবি অ্যাসপারটেম নিয়ে হু-এর খাদ্য নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ সংস্থার গবেষণা ভিত্তিহীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy