দিনের শেষে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়। ছবি: সংগৃহীত
শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটার কোনও বিকল্প নেই—এই কথা কিন্তু বার মনে করিয়ে দেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই সকালে ‘মর্নিং ওয়াক’ করার সময় পান না, দিনের শেষে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলেও শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়। আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছেন? রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে কিন্তু রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বয়স বাড়লে শারীরিক দক্ষতা কমে যায়। শরীরচর্চার করার প্রবণতাও বৃদ্ধ বয়েসে কমে যায়। ফলে যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে য়ায়। শরীরে ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতি হয়। এ ক্ষেত্রে রাতে খাওয়ার পর মিনিট ১৫ হাঁটাহাটি করলেই সুফল মিলবে।
যাঁরা টাইপ টু ডায়াবিটিসে ভুগছেন, তাঁরা যদি খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটেন, তা হলে রক্তে শর্করা তৈরিতে তার প্রভাব পড়ে। খাবার থেকেই রক্তে শর্করা তৈরি হয়। খাওয়ার হাঁটাহাটি করার সময় যে ক্যালোরির খরচ হয় তার জোগান রক্তের শর্করাই দেয়। তাই হাঁটলে ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে না।
রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করলে আর কী কী সুফল পাবেন?
১) ইদানীং অল্প বয়েসেই মানুষ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন শরীরচর্চা করার পরামর্শ দেন। তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই শরীরচর্চা করার সময় পান না। সে ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পর নিয়মিত হাঁটাচলা করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। আর রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।
২) খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটার অভ্যাস থাকলে, হজমশক্তি ভাল হয়। যাঁদের হজমের নানা সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য অবশ্যই খাওয়ার পর হাঁটা দরকার। হাঁটাহাটি করলে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন হয় ফলে খাবার সঠিকভাবে পাকস্থলীতে যায় এবং তা দ্রুত হজম হতেও সাহায্য করে।
৩) মেদ ঝরাতেও রোজ রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটতে পারেন। হাঁটলে বিপাক হার বাড়ে ফলে ওজনও ঝরে দ্রুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy