অফিসের টিফিন কিংবা সকালের খাবার— শীতের সঙ্গী কমলালেবু। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকাল মানে যেমন বড়দিন, পিকনিক, পিঠে-পুলি, তেমনই শীতের রোদে পিঠ দিয়ে কমলালেবু খাওয়া। বঙ্গে শীত ঢুকতেই বাজায় ছেয়েছে কমলালেবুতে। বাজারফেরত অনেকের ব্যাগেই উঁকি মারছে গোল গোল কমলালেবু। অফিসের টিফিন কিংবা সকালের খাবার— শীতের সঙ্গী সেই কমলালেবু। সামনেই বড়দিন, ফলে কমলালেবু দিয়ে অনেকেই কেক বানান। আট থেকে আশি— কমলালেবুর প্রতি ভালবাসা রয়েছে অনেকেরই।
কমলালেবু এমনিতে ভীষণ স্বাস্থ্যকর। কমলালেবু শরীরে জলের জোগান দেয়। এর মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি পায় শরীর। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর মানেই যে বেশি খাওয়া যায়, তা কিন্তু নয়। অত্যধিক পরিমাণে কমলালেবু খেলে সমস্যাও হতে পারে। কী সমস্যা হয়?
কমলালেবুতে স্বাস্থ্যকর উপাদানের অভাব নেই। এই ফলে রয়েছে ৮৭ গ্রাম জল, ৪৭ গ্রাম ক্যালোরি, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন, ১১.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯.৪ গ্রাম চিনি, ২.৪ গ্রাম ফাইবার এবং প্রায় ৭৬ শতাংশ ভিটামিন সি। এত কিছু উপকারী উপাদান থাকা সত্ত্বেও রোজ রোজ কমলালেবু খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁদের মতে, সারা দিনে বেশি পরিমাণে কমলালেবু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হতে পারে। ডায়রিয়া, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কমলালেবুতে ফাইবার ছাড়াও ভিটামিন সি রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই ভিটামিন অত্যধিক পরিমাণে শরীরে গেলে বমি বমি ভাব, অনিদ্রা এবং হৃদ্রোগের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। যাঁদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি, তাঁদের কমলালেবু না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। খেলেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়াই ভাল। ফলে কমলালেবু শরীরের পক্ষে যতই স্বাস্থ্যকর হোক না কেন, দিনে সর্বোচ্চ ১-২টির বেশি কমলালেবু খাওয়া ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy