শীতে চুপিসারে বাড়ে সুগার। ছবি- সংগৃহীত
শীতের মরসুমে তাপমাত্রা কমার সঙ্গে সঙ্গেই বদলে যেতে থাকে জীবনধারা। লেপ-কম্বলের ওম ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করে না একেবারেই। প্রতি দিনের যাবতীয় কাজে ভাটা পড়ে। সকালে উঠে শরীরচর্চা করতে যেমন ইচ্ছা করে না, তেমন আবার বিভিন্ন রকম খাবার দেখলে লোভ সামলানো দায় হয়। এ কথা সত্যি যে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব সরাসরি পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের উপর। এই মরসুমে নানা রকম খাবারের হাতছানি এড়াতে পারা মুশকিল। তাই এই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের প্রভাবে বিঘ্নিত হয় রক্তে শর্করার ভারসাম্য।
কী কী করলে শীতকালেও বাড়বে না শর্করার মাত্রা?
১) ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া করুন
শীতের সন্ধ্যায় গরম ধোঁয়া ওঠা হট চকোলেট বা ক্যাপুচিনো খেতে ভাল লাগলেও শরীরের কথা ভেবে চিনি ছাড়া গ্রিন টি বা সব্জির স্যুপ খেতেই পারেন। এ ছাড়াও নরম পানীয়, ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিতে পারলেই ভাল।
২) শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকুন
যতই ঠান্ডা লাগুক, ঘুম থেকে সকালে উঠতে চেষ্টা করুন। সারা দিনের কাজের মাঝে শরীরচর্চা করার সময় না পেলে কিন্তু বিপদ বাড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে প্রথমেই বিপাকীয় হারে পরিবর্তন আনতে হবে। রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শীতকালেও হালকা যোগাসন, হাঁটাহাঁটি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৩) মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস হল মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৪) পায়ের পাতা গরম রাখতে হবে
শীতের মরসুমে গরমের পোশাক পরলেও হাত-পায়ের পাতা গরম রাখতে আলাদা করে যত্ন নেওয়া হয় না। কিন্তু যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, শীতকালে তাঁদের হাত-পায়ের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য বিশেষ ভাবে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
৫) নিয়মিত শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে
আবহাওয়ার বিন্দুমাত্র পরিবর্তনেই বদলে যায় রক্তে শর্করার মাত্রা। খাওয়াদাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার পাশাপাশি নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাও দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy