রান্নায় ফোড়ন হিসাবে তেজপাতা দেওয়ার চল রয়েছে। আবার সুগন্ধ চিকিৎসাতেও এই পাতাটি ব্যবহার করা হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মেদ ঝরাতে ঘরোয়া ডিটক্স পানীয় তৈরির কাজে ব্যবহার করা যায় তেজপাতা। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতেও সাহায্য করে এই পানীয়। মেদ ঝরানোর জন্য যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হল বিপাকহার। তেজপাতা কিন্তু বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে ক্যালোরি ক্ষয় করাও সহজ হয়।
আরও পড়ুন:
ওজন নিয়ন্ত্রণে তেজপাতার ভূমিকা কতটা?
· যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তেজপাতায়। এই উপাদানটি যে অন্ত্র ভাল রাখে, তা অনেকেই জানেন। পাশাপাশি হজম সংক্রান্ত সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যও নিরাময় করে।
· ‘সিনেয়োল’ এবং ‘ইউজেনল’ নামক দু’টি উপাদান রয়েছে তেজপাতায়। হজমের সমস্যায় দারুণ কাজ করে এই দুই উপাদান। পাশাপাশি বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে এই পাতা।
· শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে তেজপাতা। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরোক্ষ ভাবে তেজপাতার ভূমিকা রয়েছে।
· রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে তেজপাতা। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সকালে তেজপাতা ভেজানো জল খেতেই পারেন।
· তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই উপাদান শারীরবৃত্তীয় নানা কাজকর্ম সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। আবার, তেজপাতার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি ত্বক এবং চুলের নানা সমস্যার সমাধান করে।
আরও পড়ুন:
তেজপাতা দিয়ে বিশেষ ওই পানীয় তৈরি করবেন কী করে?
· প্রথমে পরিমাণ মতো জল ফুটিয়ে নিন।
· গ্যাস বন্ধ করে ৫-৬টি তেজপাতা জলের মধ্যে দিয়ে দিন।
· পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক।
· পাত্রের ঢাকা খুলে দেখতে পাবেন জলের রং বদলে গিয়েছে।
· ছাঁকনির সাহায্যে পাতাগুলি জল থেকে আলাদা করে ফেলুন।
· হালকা গরম থাকতে থাকতে এই পানীয় খেয়ে নিন।
· চাইলে মধুও যোগ করতে পারেন।