ডায়াবিটিস কমাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিসের হানা এখন ঘরে ঘরে। তরুণ থেকে বৃদ্ধ— ডায়াবিটিসের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা। ডায়াবিটিস মানেই বিপর্যয়। জীবন থেকে এক নিমেষে বাদ চলে যায় অনেক কিছু। ইদানীং যে ধরনের জীবনযাপনে বেশির ভাগ মানুষ অভ্যস্ত, তাতে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু রক্তে যে চুপিসাড়ে শর্করা বাড়ছে, তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে ঘুম কম হওয়া, অবসাদ, উদ্বেগজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। শরীরের সঙ্গে এই অনিয়মের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করতে থাকে। এই অবস্থাতেই মূলত ডায়াবিটিসের পূর্ব লক্ষণ দেখা দেয়। ঘন ঘন মূত্র ত্যাগের প্রবণতা, বারেবারে তেষ্টা পাওয়া, সব সময় ক্লান্তি ভাব, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়া— এগুলি ডায়াবিটিসের পূর্ব লক্ষণ।
ডায়াবিটিস বেশি দিন পুষে রাখলে শারীরিক আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বশে রাখা জরুরি। সেটাও সহজ নয়। জীবনযাপনে নানা বদল এনেও শর্করার মাত্রা কিছুতেই কমানো যায় না। বরং ক্রমশ তা বাড়তে থাকে। তা আটকাতে খাওয়াদাওয়ায় একটা ছোট্ট বদল আনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডায়াবেটিকদের সুস্থ থাকার মূলমন্ত্র হতে পারে ব্রকোলি।
কিন্তু কেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, ব্রকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ফাইবার শর্করার মাত্রা বশে রাখা। সেই সঙ্গে গ্লুকোজ শোষণও ধীর করে তোলে। ব্রকোলিতে থাকা ‘গ্লুকোসিনোলেটস’ রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রকোলিতে উপকারী উপাদানের শেষ নেই। ব্রকোলিতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা ডায়াবেটিকদের সুস্থ রাখা ছাড়াও অন্য অনেক শারীরিক সমস্যারও ঝুঁকি কমায়। রোজের ডায়েট ব্রকোলি রাখলে অনেক রোগবালাই থেকেই দূরে থাকা যায়।
ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে ব্রকোলি খাওয়ার কি কোনও নিয়ম আছে?
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রোগের নাম যাই হোক, সুস্থ থাকতে সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। ব্রকোলি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর, এ নিয়ে কোনও সংশয় থাকার কথা নয়। শুধু সেদ্ধ করে কিংবা ব্রকোলির স্যালাড খেতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। অল্প তেলমশলা দিয়ে বাকি ব্রকোলি রান্না করে খেলেই সুরাহা পাওয়া যাবে।
প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ সচেতনতার উদ্দেশে লেখা হয়েছে। ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy