৩০-৫০ বছর বয়সিরা স্তন ক্যানসারের শিকার হন সবচেয়ে বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
স্তন ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে এ বার ৪০ বছর পেরোলেই মহিলাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক হল আমেরিকায়। ইতিমধ্যেই তার খসড়া প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। শুধু ভারত নয়, মহিলাদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার নিয়ে চিন্তিত গোটা বিশ্ব। বিশেষ করে কমবয়সি মহিলাদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এত দেরিতে এই রোগ ধরা পড়ছে যে, তখন আর করার কিছুই থাকছে না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও গবেষকদের মত ‘আর্লি ডিটেকশন’ জরুরি। অর্থাৎ, যত তাড়াতাড়ি রোগ ধরা পড়ে, ততই ভাল। নয়া নির্দেশিকা জারি হলে স্তন ক্যানসারের করালগ্রাস থেকে অন্তত পক্ষে ১৯ শতাংশ মানুষকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় বসবাসকারী মহিলাদের মধ্যে আড়াই লক্ষেরও বেশি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন প্রতি বছর। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের চাবিটি থাকে আক্রান্তের কাছেই। তাঁদের মতে ‘সেল্ফ ডিটেকশন’-এর বিকল্প নেই এ ক্ষেত্রে।
ভারতীয় মহিলাদের মধ্যেও ক্রমশ এই রোগের প্রভাব বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ৩০ বছরের পর থেকেই ‘ম্যামোগ্রাম’ করানোই একমাত্র উপায়। তবে এই দেশে ‘আইসিএমআর’ প্রদত্ত এই সংক্রান্ত কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এখনও তৈরি হয়নি। এই রোগে আক্রান্তের বয়ঃসীমা বলে কিছু হয় না। আকছার ২০ থেকে ৩০-এর ঘরের যুবতীরাও এই অসুখের শিকার হন। তবে ৩০-৫০ বছর বয়সিরা স্তন ক্যানসারের শিকার হন সবচেয়ে বেশি। প্রথম থেকেই এই অসুখ নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ব্রেস্টের সব লাম্প বা টিউমারে কিন্তু ক্যানসারের প্রবণতা থাকে না। বরং ১০-১৫ শতাংশ টিউমারেই এই ভয় থাকে, কিন্তু শরীরে তেমন কোনও লাম্প বাসা বেঁধেছে কি না, তা জানতে বছরে এক বার অন্তত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চেকআপ করানো উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy