কালো কফিতেই বশে থাকবে ওজন! ছবি: সংগৃহীত।
কাজ করতে করতে ক্লান্ত? কিংবা কিছুই ভালে লাগছে না! এক কাপ কড়া কফি কিন্তু বদলে দিতে পারে মেজাজ। রাত জাগার ক্লান্তি দূর করা হোক বা দিনের শুরু, এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের কফিতে চুমুক না দিলে হয় না।
দিনভর তরতাজা রাখতে কফির জুড়ি মেলা ভার, তা সকলে জানলেও, কালো কফি যে ওজন কমাতে সাহায্য করে, তা হয়তো এত দিন অনেকেই জানতেন না।
হাভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেল্থ-এর সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, দিনে চার কাপ কালো কফি দেহের মেদ ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। তবে হ্যাঁ, চিনি ছাড়া কালো কফিতে চুমুক দিলে উপকার মিলবে বেশি।
ভাবতে পারছেন, পছন্দের কফিতে চুমুক দিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে! বলা ভালে, ওজন কমাতেও সাহায্য করতে পারে কালো কফি। কিন্তু কী ভাবে?
কালো কফিতে ক্যালোরির পরিমাপ
আমেরিকার কৃষি বিভাগ বলছে, এক কাপ কালো কফির জন্য ব্যবহৃত হওয়া বিন্সে ২ ক্যালোরি থাকে। এক আউন্স ব্ল্যাক এসপ্রেসোতে ১ ক্যালোরি থাকে। আর ‘ডি-ক্যাফিনেটেড বিনস’ ব্যবহার করলে ক্যালোরির পরিমাণ হয় শূন্য।
কী ভাবে ওজন কমায় ব্ল্যাক কফি
ব্ল্যাক কফিতে থাকে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবারের পর কালো কফিতে থাকা এই উপাদান গ্লুকোজ সংশ্লেষের গতি শ্লথ করে দেয়। নতুন মেদ কোষ তৈরির প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয়। যার জেরে শরীরে কম ক্যালোরি জমা হয়।
চিকিৎসক সিমরন সাহানির কথায়, কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে।
যখন-তখন খিদে কমায়
কফিতে থাকা ক্যাফিন যেমন মস্তিষ্ককে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে তেমনই বার বার কফি পানে খিদের অনুভূতি কমে যায়। বাড়তি হাবিজাবি খাওয়া মানেই ওজন বাড়া, সেটা সকলেই জানেন। উল্টো দিকে, কফি খিদে কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মেদ গলাতে সাহায্য করে
সবুজ কফি বিনস্ শরীরের মেদ গলাতে কাজে লাগে। এই কফি পানে শরীরে এমন উৎসেচক তৈরি হয়, যা মেদ গলাতে সাহায্য করে। মেটাবলিজ়ম বাড়াতে, খারাপ কোলেস্টরল কমাতেও এর ভূমিকা থাকে।
শরীর থেকে জল কমাতে সাহায্য করে
কালো কফিকে ‘ন্যাচারাল হিলার’-ও বলা চলে। অনেকেরই শরীর অতিরিক্ত ফোলা-ফোলা লাগে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কালো কফি বা ব্ল্যাক কফি পান এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। যার ফলাফল হতে পারে নির্মেদ চেহারা।
তা হলে, ওজন কমানোর জন্যেও এখন থেকে ভরসা করতে পারেন ব্ল্যাক কফিতে। তবে এটিও ঠিক, কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভাল নয়। আর নতুন ডায়েট শুরু করতে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা নেওয়াটা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy