নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করলেই কিন্তু যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
মোবাইলে ঘাড় গুঁজে পড়াশোনা হোক বা অফিসে ল্যাপটপের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টার কাজ— কম বয়সি থেকে বয়স্ক, অনেকেই ইদানীং ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছেন। ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথার মূলে আছে নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব কিংবা এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা। ভুল ভঙ্গিতে বসে টিভি বা কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার কারণেও বাড়তে পারে ঘাড়ে ব্যথার প্রকোপ। ভারী জিনিস তোলার সময়ও অসাবধনাতাবশত ঘাড়ে লেগে যেতে পারে। ব্যথা হলে প্রাথমিক ভাবে অগ্রাহ্য করলেও পরে ভোগান্তির মাত্রা বাড়তে পারে। ঘাড়ে এক বার যন্ত্রণা শুরু হলে সেই ব্যথা দীর্ঘ দিন থেকে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করলেই কিন্তু যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। কোন কোন আসনে হবে কাজ?
বালাসন: হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার সামনের দিকে ঝুঁকে যান। এমন ভাবে সামনে ঝুঁকতে হবে, যাতে বুক গিয়ে উরুতে ঠেকে। মাথা মেঝেতে রাখুন। আর হাত দুটো সামনের দিকে প্রসারিত করে রাখুন। ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমাতেও এই আসনের জুড়ি নেই।
ধনুরাসন: পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন। ঘাড়ের যন্ত্রণা কমাতে এই যোগাসনটি নিয়ম করে অভ্যাস করুন।
মৎস্যাসন: ম্যাটের উপরে টানটান হয়ে শুয়ে দু’পা একসঙ্গে ঠেকিয়ে রাখুন। দু’পাশে টানটান করে রাখতে হবে দুই হাত। শ্বাস-প্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক। এ বার ধীরে ধীরে ধনুকের মতো করে বেঁকিয়ে ফেলুন পিঠ। কাঁধও উঠে আসবে। শরীরের ভার হাতের কনুইয়ের পাশাপাশি থাকবে মাথা ও নিতম্বে। বুক উপরের দিকে উঠে থাকবে। সবটা ঠিকমতো করলে অনেকটাই মাছের মতো দেখাবে। এই ভঙ্গিতে মিনিট খানেক থাকতে পারলে ভাল। ঘাড়ের ব্যথা কমবে নিয়মিত এই যোগাসন অভ্যাস করলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy