সিঁড়ি ভাঙাতেই লুকিয়ে মেদ ঝরার মন্ত্র, কোন নিয়মে ঝরবে ওজন?
অনেকেরই ধারণা, জিমে গিয়ে ওয়েট লিফ্টিং করা অথবা ট্রেডমিলে দৌড়ে ঘাম ঝড়ানোই আদতে শরীরচর্চা। কিন্তু শরীরের গড়ন ধরে রাখা, বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার একমাত্র উপায় শুধুমাত্র জিম নয়। সুস্থ-সবল শরীর চাইলে নানা ধরনের শারীরিক কসরতই উপায়। হাঁটা, জগিং, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা তার মধ্য অন্যতম। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার অভ্যাস শরীরের শক্তি বৃদ্ধি, মাংশপেশির গঠন এবং ভারসাম্য দৃঢ় করতে খুবই কার্যকর। বেশি ক্যালোরি ঝরানো এবং পেশির টোনিংয়ে সাহায্য করে এই কসরত।
লিফ্ট ব্যবহার না করে দিনের মধ্যে বার কয়েক খুব সাধারণ এই কসরত করলে হ্যামস্ট্রিংয়ের জোর বাড়ে। হাঁটুর মাংসপেশি মজবুত হয়। জানুন আর কী কী উপকার মেলে এই কসরত করলে?
১) সমতল ভূমিতে দৌড়নো কিংবা হাঁটার চেয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় শরীরের মাংসপেশিগুলি বেশি সক্রিয় থাকে। সমতলে হাঁটার সময় শুধু মাত্র পায়ের পেশিই সক্রিয় থাকে। তবে সিঁড়িতে চড়ার সময় আপনার গ্লুটস, কোয়াডস এবং হ্যামস্ট্রিং একসঙ্গে কাজ করে। মেদমুক্ত পেশির জন্য এটি খুব কার্যকর একটি কসরত।
২) সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় পায়ের স্থির পেশি, গোড়ালি এবং পেরোনাল টেনডন শরীরের ভারসাম্য রক্ষার্থে একসঙ্গে কাজ করে থাকে। এই কসরতের ফলে আপনার শরীরিক শক্তির বিকাশ ঘটে। কসরতের শুরুর দিকে পায়ে টান ধরা বা ব্যাথা অনুভূত হলেও পরে নিজেকে তরতাজা লাগবে।
৩) সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতেও সাহায্য করে। এই কসরতের ফলে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয় এবং হৃদ্স্পন্দন ঠিক থাকে।
৪) শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঘটার ফলে হরমোন গ্রন্থি থেকে গুড হরমোনের ক্ষরণ হয়। যার ফলে মানসিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। মনও ভাল থাকে।
মানতে হবে সঠিক নিয়ম
সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার সময় আপনার ভঙ্গিমা যেন ঠিক থাকে। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন, সামনের দিকে ঝুঁকে পড়বেন না। শুরুতেই তাড়াহুড়ো নয়। ধীরে ধারে শুরু করুন এবং পরে সময়সীমা বাড়ান। এই কসরতের জন্য সঠিক স্পোর্টস শু-এর প্রয়োজন। যে কোনও জুতো পরে এই কসরত করলে পায়ে টান ধরা বা চোট লাগার আশঙ্কা থেকে যায়। যদি হাঁটাচলায় সমস্যা বা বাতের সমস্যা থাকে তবে এই কসরত করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy