ফল-সব্জির সেদ্ধর বাইরে আপনার খুদেকে নতুন কিছু খাওয়াবেন ভাবছেন? এ ক্ষেত্রে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে সুজি। সুজির মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এবং ফোলেট। তা ছাড়া সুজিতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। যা শিশুদের ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী। নানা রকম পুষ্টি থাকায় সুজিকে সুষম আহার বললেও ভুল হবে না। সুজি মস্তিষ্ক, স্নায়ুতন্ত্র এবং কিডনির মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে শক্তির জোগান দেয়।
সুজির গুণাগুণ
- সুজির মধ্যে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও ফসফরাস আছে যা হাড় মজবুত এবং শক্তিশালী করতে তুলতে সাহায্য করে।
- সুজির মধ্যে থাকা ডায়টেরি ফাইবার শিশুর হজমশক্তি উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়।
- সুজির মধ্যে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- আয়রন এবং পটাশিয়াম থাকায় সুজি শিশুর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করতে সহায়তা করে। ফাইবার ও সেলনিয়ামে ভরপুর সুজি শিশুর হৃদ্পিণ্ডকেও সুস্থ রাখে।
- সুজি কার্বহাইড্রেটের খুব ভাল উত্স। সুজি খেলে শিশুর মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। শারীরিক শক্তিও বাড়ে।

প্রতীকী ছবি
আপনার শিশুর অন্তত সাত মাস বয়স হয়ে গেলে আপনি ধীরে ধীরে শিশুর ডায়েটে সুজি রাখতেই পারেন। তবে আগে দিন তিনেক পরীক্ষা করে নিন। অনেক শিশুর গ্লুটেনজাতীয় খাদ্যে অ্যালার্জি থাকে সে ক্ষেত্রে তাদের সুজি খাওয়ানো উচিত না।
কী ভাবে খাওয়াবেন?
শিশুকে সুজির পায়েস কিংবা হালুয়া বানিয়ে দিতে পারেন । তবে শিশুদের খুব বেশি চিনি না খাওয়ানোই ভাল। তাই চিনির মাত্রা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। সুজির উপমাও বানিয়ে দিতে পারেন। শিশুর বয়স দেড় থেকে দু’বছর হয়ে গেলে সুজির প্যানকেক বানিয়েও খাওয়াতে পারেন।