বেশি ঘুমোনোও ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ওজন কমানো— সব কিছুরই সমাধান লুকিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে। শরীর ভাল রাখতে যে ঘুমের প্রয়োজন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু তো শরীর নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন আছে। শরীরের অন্দরে কী জটিলতা তৈরি হচ্ছে, তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। সমস্যা না বুঝলেও সমাধান যখন জানা, তখন তো আর চিন্তা করার কিছু নেই। তাই ফিট থাকতে ঘুমোনো প্রয়োজন। বয়স এবং শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। তবে লন্ডনের ‘ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন’-এর একটি গবেষণা জানাচ্ছে, বেশি ঘুমও কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমোলে শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেগুলি কী জানেন?
১) রক্তে শর্করার বেড়ে যাওয়া নির্ভর করে জীবনযাপনের উপর। সারা দিনের খাওয়াদাওয়া, কাজ, শরীরচর্চা এই সব কিছুর প্রভাব পড়ে বিপাকহারের উপর। দিনের বেশির ভাগ সময়ে যদি ঘুমিয়েই কাটে, সে ক্ষেত্রে কোনও রুটিনই সঠিক ভাবে মেনে চলা যায় না। তা ছাড়া শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শরীরচর্চা করা জরুরি। বেশি ঘুমোলে সেই অভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
২) বেশি ঘুমোলে দিনের অনেকটা সময় বিছানায় কেটে যায়। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে যেটুকু শরীরচর্চা প্রয়োজন, রোজ সেইটুকু করতে না পারলে হার্টের সমস্যা হবেই। শুধু তাই নয় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমোলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে আরও অনেক রোগ। ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনের বেশি ঘুমনো ঠিক নয়।।
৩) বেশি ঘুমোলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ওজন ধরে রাখতে অতিরিক্ত ঘুম বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সব রোগও বাড়তে থাকে ঘুমের সঙ্গেই। তাই কমও নয়, আবার বেশিও নয়— প্রয়োজনমাফিক ঘুমোন।
৪) সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে আলস্য লাগে, শরীরে চনমনে ভাব থাকে না। কোনও কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না। ঘুমোতে ইচ্ছা করলেও সকালের দিকে তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করুন। দেখবেন সারা দিন বেশ ভাল কাটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy