ডাল ভিজিয়ে রাখলে কি বাড়তি উপকার মেলে? ছবি: ফ্রিপিক।
রান্নার আগে কেউ কেউ ডাল ধুয়ে বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখেন। এতে ডালে থাকা ধুলো-ময়লা ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়। আবার ডাল ভিজে নরম হয়ে গেলে সেদ্ধ হতে সময়ও কম লাগে। কেউ কেউ আবার এই ঝক্কি এড়াতে ডাল ধুয়ে সরাসরি কড়াই বা প্রেসার কুকারে দিয়ে রেঁধে ফেলেন।
ডাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখলে কি বাড়তি কোনও উপকার হয়?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডাল বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে তা রান্না করতে সুবিধা হয় অবশ্যই, পাশাপাশি, হজমের পক্ষেও সহায়ক হয়ে ওঠে। বেড়ে যায় পুষ্টিগুণ।
কী ভাবে তা সম্ভব?
পু্ষ্টিগুণ
মুসুর ডালের বিষয়েই নজর দেওয়া যাক। এতে রয়েছে ট্যানিন এবং পলিফেনল। এই দুই উপাদানই হজমে বাধা সৃষ্টি করে। তবে মুসুর ডাল ধুয়ে নেওয়ার পর বেশ কিছু ক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে এই দুই উপাদানের মাত্রা হ্রাস পায়। এই ডালে থাকে আয়রন, জ়িঙ্ক, ক্যালশিয়াম-সহ বেশ কিছু খনিজ ও পুষ্টিকর উপাদান। কিন্তু মুসুর ডালে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড ডালে থাকা খনিজের পুষ্টিগুণ শোষণে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডাল ভিজিয়ে রাখলে ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রাও কমে যায়। ফলে পুষ্টি যথাযথ মেলে।
হজমে সহায়ক
পুষ্টিবিদ বলছেন, মুসুর ডালে থাকা অলিগোস্যাকারাইড (এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট) –এর জন্য হজমে সমস্যা হয়। পেট ফোলার মতো উপসর্গ দেখা দেয় অনেক সময়। কিন্তু ডাল ভিজিয়ে রাখলে এই ‘কমপ্লেক্স সুগার’টি ভেঙে যায়। ফলে হজমে অসুবিধা হয় না। পাশাপাশি, ডালে থাকা লেকটিনও হজমে ও পুষ্টিগুণ শোষণে সহায়ক নয়। বেশ কিছু ক্ষণ ডাল ভেজালে এই উপাদানটির মাত্রাও কমে যায়।
অসুখের আশঙ্কা কমে
ডালে ধুলোবালি থাকেই। তার উপর রাসায়নিক সার দিয়ে চাষ করলে, তা-ও অনেক সময় মিশে থাকতে পারে। জলে বার বার ধুলে ধুলোবালি বেরিয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে আরও ভাল ভাবে পরিষ্কার হয়। ফলে রোগ ব্যাধির আশঙ্কা কমে।
চট করে রান্না
বেশ কিছু ক্ষণ জল পেলে ডাল নরম হয়ে যায়। খেতেও ভাল লাগে, আবার চটজলদি রান্নাও হয়ে যায়। এতে জ্বালানিরও সাশ্রয় হয়। ডালের বড়া বানানো হোক বা অন্য কোনও রান্না, নরম হয়ে গেলে চট করে বেটে নেওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy