উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় কী ভাবে উপকারে আসবে তেল? ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিনের কর্মব্যস্ত জীবনে নিজের প্রতি যত্ন নেওয়ার সময় কোথায়? আট থেকে দশ ঘণ্টা অফিসে কাটানোর পর শরীর এতটাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে যে, পরিবারের সঙ্গে দু’দণ্ড কথা বলারও ইচ্ছে থাকে না। শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে পায়ের তলায় তেল মালিশের কোনও বিকল্প নেই! শুধু পেশির আরামই নয়, পায়ের পাতার মালিশে শারীরিক এবং মানসিক নানান সমস্যার সমাধান মিলতে পারে, এমনটাই মত অ্যামেরিকান ইনস্টিটিউট অফ অলটারনেটিভ মেডিসিন-এর।
পায়ের পাতায় তেল মালিশ করলে কী কী সুবিধা পাবেন?
১) অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। ঘুমের জন্য নির্ভর করতে হয় ওষুধের উপর। পায়ের তলায় মালিশ করলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হতে পারে। ঘুমোনোর আগে পায়ের পাতায় মালিশ করলে মন ভাল হয়, সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়। তাই অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে এই কৌশল একবার ব্যবহার করে দেখতেই পারেন।
২) জিম করতে গিয়েই হোক কিংবা জগিংয়ের সময়, মাঝেমধ্যেই আমাদের পায়ের পেশিতে টান পড়ে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মালিশ করলে পেশির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। পেশিতে টান পড়লেও গরম তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) দুশ্চিন্তার কারণে মানসিক অবসাদে ভোগেন অনেকেই। পায়ের তলায় মালিশ করেই দেখুন। নিয়মিত এই পন্থা মেনে চললে মন চাঙ্গা হবে, কমবে উদ্বেগ।
৪) পঞ্চাশ পেরোলেই গাঁটের ব্যথায় অনেকেই কষ্ট পান। এই ব্যথা কমাতে চাইলেও আপনাকে অবশ্যই করতে হবে পায়ের তলায় মালিশ।
৫) নিয়মিত পায়ের তলায় তেল মালিশ করলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
৬) ওষুধ খাওয়ার পরেও রক্তচাপকিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না? রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও রোজ রাতে তেল মালিশ করতেই পারেন। শরীরে রক্ত চলাচল ভাল করার জন্য এই পন্থা বেশ উপকারী।
৮) ঋতুবন্ধের সময় অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, ঘুম না আসা, অবসাদ— এই সময় অনেক মহিলাদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এ ক্ষেত্রেও তেল মালিশ করলে সুফল পাবেন।
প্রতি দিন পায়ের পাতায় তেলমালিশ করা যায়?
কোনও রকম ক্রনিক অসুখ না থাকলে নিয়মিত পায়ের পাতায় তেলমালিশ করতে পারেন। তবে থ্রম্বোসিস কিংবা নিউরোপ্যাথির সমস্যা থাকলে কিন্তু পায়ের পাতায় তেলমালিশ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। মালিশের সময় পায়ের পাতার কোন অংশগুলিতে কী ভাবে আরটা চাপ দেওয়া জরুরি তা সবার আগে জানা দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নিজেই তেলমালিশ করতে শুরু না করে থেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy