কমবয়সিদেরও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিন আগে পর্যন্ত চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিতেন বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হলেই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করার। কিন্তু মা-বাবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছোট থেকেই অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে ইদানীং কমবয়সিদের মধ্যেও হাইপার টেনশনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যদিও এ ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, তা নয়। তবে, ২০ থেকে ৪০— যে কোনও বয়সেই এই রোগের কবলে পড়ার ভয় রয়েছে। রক্তচাপ ১৩৯/৮৯ ছাড়ালেই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত বলা যায়। তবে এরও বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তচাপ বাড়লে মাথাধরা, ক্লান্তি, মাথা হালকা লাগার মতো কিছু লক্ষণ অনুভূত হতে পারে। সতর্ক না হলে তা কিছু ক্ষেত্রে এই অসুখ ‘সাইলেন্ট কিলার’-এর মতো কাজ করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ছোট থেকেই জীবনধারায় পরিবর্তন আনা জরুরি।
১) কৈশোর বয়স থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ ‘ব্যালেন্স্ড’ ডায়েট খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
২) পড়াশোনার ফাঁকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভাল। সঙ্গে সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে এবং রাতে খাবার পরে অল্পবিস্তর হাঁটাহাটি করতে পারলে ভাল।
৩) বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
৪) বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন কেমন হওয়া উচিত তা জেনে, সেই অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। দেহের অতিরিক্ত ওজন থেকেই রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
৫) অল্প বয়সে বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে ধূমপানের প্রতি আসক্তি তৈরি হতে পারে। তবে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে হাইপার টেনশনের ঝুঁকি অনেকটাই এড়িয়ে চলা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy