অল্প পরিশ্রম করেই হাঁপিয়ে উঠছেন, ওজন বেড়ে যাচ্ছে, চুল ঝরে যাচ্ছে, মুখের জেল্লা হারিয়ে যাচ্ছে— থাইরয়েডের সমস্যা বাড়লে এমন উপসর্গ দেখা যায় রোগীর শরীরে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোনের হেরফেরে এই রোগ বাসা বাঁধে।
থাইরয়েড দু’ধরনের হয়। হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘হাইপারথাইরয়েডিজ়ম’ এবং হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ কমে গেলে তাকে ‘হাইপোথাইরয়েডিজ়ম’ বলা হয়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে ওষুধের পাশাপাশি খাবারেরও কিন্তু বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ডায়াবিটিস বা হাইপারটেনশন থাকলে কী কী খাওয়া যায় আর কোনগুলি বাদ দিতে হয়, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ যতটা সচেতন, থাইরয়েডের ক্ষেত্রে তেমনটা দেখা যায় না। তাই নিয়ম করে ওষুধ খাওয়ার পরেও অনেক সময়ে সমস্যা থেকেই যায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, থাইরয়েড বেড়ে গেলে সয়াজাত খাবার, যেমন টোফু পনির, চিজ় ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার থাইরয়েড বাড়িয়ে দেয়। আবার মুলো, রাঙালু, চিনেবাদামও খাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন:
আর কী কী খেলে বিপদ বাড়বে?
১) সয়াজাত খাবার:
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সয়াবিন বা সয়াজাত খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই থাইরয়েড থাকলে সয়াবিন, সয়ার দুধ, টোফুর মতো খাবার মেপে খাওয়াই ভাল।
২) বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি:
যে কোনও ধরনের কপি থেকে থাইরয়েডের সমস্যা বাড়তে পারে। শীতকালে এই সব্জিগুলি বেশি খাওয়া হয়। তবে থাইরয়েড থাকলে দিনে সর্বোচ্চ কতটা পরিমাণ কপি খাওয়া যায়, তা পুষ্টিবিদের কাছে জেনে নিতে হবে।
৩) প্যাকেটজাত খাবার:
প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়তি নুন, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকবেই। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। না হলে শরীরে অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি থাইরয়েডের সমস্যাও বৃদ্ধি পাবে।
৪) কফি:
অতিরিক্ত ক্যাফিন শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফিন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। তবে যাঁরা একান্তই কফি ছাড়া থাকতে পারেন না, তাঁরা এ বিষয়ে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন:
কী কী খাবেন:
রোজ নিয়ম করে ইয়োগার্ট খেতে পরেন। সহজলভ্য টক দই, তা-ও খাওয়া যেতে পারে। সকালে জলখাবারের সঙ্গে নানা ধরনের বীজ খেতে পারেন। পাউরুটি হোক বা রুটি— তার মধ্যে দানাশস্য থাকলেও এ ক্ষেত্রে উপকার হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ওমেগা-৩, সেলেনিয়াম রয়েছে, এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে।