ধূমপান, মদ্যপান এবং খাদ্যাভাসের পরিবর্তন যে শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে। ছবি- সংগৃহীত
সন্তান ধারণে সমস্যা বা ‘বন্ধ্যত্ব’ শব্দটি শুনলেই প্রথমে মেয়েদের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু এই বন্ধ্যত্ব যে পুরুষদেরও হতে পারে, সে কথা চট করে মাথায় আসে না কারও। হালের গবেষণা বলছে, পুরুষকুলের শুক্রাণু পরিমাণ এবং মান দুই-ই আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। তাই সন্তান ধারণে মেয়েদের চেয়ে বেশি সমস্যায় ভোগেন পুরুষরাই। তবে এই সমস্যা নিয়ে কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন বেশির ভাগ পুরুষই। সেই কারণে সচেতনতার অভাব থেকে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মত, ঠিক কী কারণে পুরুষদের এই সমস্যা হয়, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা এখনও চলছে। তবে ধূমপান, মদ্যপান এবং খাদ্যাভাসের পরিবর্তন যে শুক্রাণুর উপর প্রভাব ফেলে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কোনও সমস্যা হয়েছে, বুঝে ওঠার আগেই তা অনেক গভীরে চলে যায়। তাই সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা না থাকলেও শারীরিক ভাবে সক্রিয় হওয়ার সময় থেকেই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা জরুরি। কারণ, অনেক সময় দেখা যায় মহিলা সঙ্গীটির থেকেও বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ পুরুষ সঙ্গীর শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। যা শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয়।
মহিলাদের বন্ধ্যত্ব নিয়ে নানা রকম চিকিৎসার কথা শুনেছেন। কিন্তু পুরুষদের এই একই সমস্যা হলে তার চিকিৎসা হবে কোন পথে?
১) অস্ত্রোপচার
শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি করতে না পারলেও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শুক্রাশয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনও শিরা, উপশিরার মধ্যে যদি কোনও সমস্যা থাকে, তা আবার আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা যায়।
২) সংক্রমণের চিকিৎসা
শুক্রাশয় এবং তার আশেপাশের কোনও অঞ্চলে সংক্রমণ হলে অ্যান্টি-বায়োটিক দিয়ে তার চিকিৎসা করা যায়, তবে প্রজননের সমস্যা কিন্তু থেকেই যায়।
৩) হরমোন থেরাপি
আমাদের দেশে খুব একটা চল না থাকলেও বিদেশে হরমোন প্রতিস্থাপন চিকিৎসা খুবই প্রচলিত। তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে যাওয়ার আগে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে জেনে তবেই এগোনো উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy