নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেশি বয়সে সন্তানধারণের জটিলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ছবি- সংগৃহীত
পড়াশোনা শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ। সেখানে থিতু হয়ে তার পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময়ই দেরি হয়ে মেয়েদের। ফলে একটা বয়সের পর শারীরিক ভাবে একটু হলেও পিছিয়ে পড়তে পারেন মেয়েরা। চিকিৎসকেরা বলেন, ৩৫-৪০-এর পর থেকেই মেয়েদের শরীরে ডিম্বাণুর সংখ্যা কমতে থাকে। পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে প্রজননে সাহায্যকারী হরমোন ক্ষরণের পরিমাণও। ফলে সন্তানধারণে সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তবে তার মানে ৩৫-এর পর যে মা হওয়া যায় না, এমনটা কিন্তু নয়। আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বলছে, নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, শরীরচর্চা, পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ এই সমস্যাও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বেশি বয়সে মা হতে গেলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
১) মা হওয়ার পরিকল্পনা করার শুরু থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রস্তুতিপর্ব থেকেই নিয়ম করে ফলিক অ্যাসিড ওষুধ খাওয়া জরুরি।
২) সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে ‘প্রি প্রেগনেন্সি কাউন্সেলিং’ করিয়ে নিলে ভাল। এ ক্ষেত্রে হবু সন্তান ও মায়ের অসুস্থ হয়ে পড়া ও অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৩) সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্তানধারণের আগে হবু মায়ের হৃদ্যন্ত্র পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া দরকার।
৪) বেশি বয়সে মা হওয়া ‘হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি’ পর্যায়ে পড়ে। তাই গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই ‘ফিটাল মেডিসিন’ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা জরুরি। এতে ভবিষ্যতের এমন অনেক জটিলতা প্রতিরোধ করা যায়।
৫) গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বাড়তি সাবধানতা নেওয়া উচিত। প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ওষুধ খেতে ভুললে চলবে না।
৬) থাইরয়েডের অসুবিধে থাকলে অনেক সময়ে ভ্রূণ স্বাভাবিক ভাবে বাড়তে পারে না। থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যের কারণেই গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে।
৭) হবু মায়ের রক্তের জমাট বাঁধার সমস্যা (ক্লটিং ডিসর্ডার) থাকলেও মিসক্যারেজের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ৩৫-এর পর যাঁরা মা হতে চান তাঁদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই এগোনো উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy