—প্রতীকী ছবি।
ঘুম থেকে উঠে সকালবেলা পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। শৌচাগারে গিয়ে হঠাৎ সন্তান প্রসব করলেন এক মহিলা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার শারীরিক কোনও চিহ্ন ছিল না। সাত-আট মাস পর্যন্ত বুঝতেই পারেননি যে শরীরে আরও একটি প্রাণ বেড়ে উঠছে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমন ঘটনা ঘটেছে এই পৃথিবীতেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের গর্ভধারণ বিরল হলেও সত্যি। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে ‘ক্রিপ্টিক প্রেগনেন্সি’ বলা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, শারীরিক জটিলতা ছাড়াও এমনটা হওয়ার বহুবিধ কারণ থাকতে পারে।
১) জন্মনিরোধক
অন্তঃসত্ত্বা হবেন না ভেবে অসুরক্ষিত সঙ্গম করছেন। এ দিকে জন্মনিরোধক ওষুধও খাচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তা ‘ক্রিপ্টিক’ হলেও হতে পারে।
২) অনিয়মিত ঋতুস্রাব
যাঁদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়, তাঁদের ডিম্বস্ফোটনের দিনও আলাদা করে সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে এমন ‘গুপ্ত’ গর্ভাধান হওয়া সম্ভব।
৩) প্লাসেন্টা অ্যাক্রেটা
ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার কিছু দিন পরেও ভ্রূণ জরায়ুর সঙ্গে সংযুক্ত হতে না পারলে অনেক সময়ে রক্তপাত হতে দেখা যায়। অনেকেই তা ঋতুস্রাব বলে ধরে দেন। কিন্তু ভ্রূণের অস্তিত্ব থেকেই যায়।
৪) ভুল রিপোর্ট
ওষুধের দোকানে যে টেস্ট কিটগুলি পাওয়া যায়, তাতে অনেক সময়েই রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। অনেকের শরীরে ‘এইচসিজি’ বা ‘হিউম্যান করিয়োনিক গোনাডোট্রপিন’ হরমোনের মাত্রা কম থাকলেও অনেক সময়ে ভ্রূণের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায় না।
৫) জটিলতা
শারীরিক কোনও জটিলতা থাকলে অনেক সময়ে সন্তানধারণে সমস্যা হতে পারে। বিকল্প পদ্ধতির চিকিৎসা চলাকালীন অনেক সময়ে স্বাভাবিক ভাবেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন অনেকে। সেই সময়েও কিন্তু এই ধরনের ‘ক্রিপ্টিক’ গর্ভধারণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy