আদি কী দিলেন?
(হা হা হা) এখনও কিছুই দেয়নি।
সে কি? আমি তো ভাবলাম নির্ঘাত দামি গয়না বা নতুন কোনও গাড়ি? নিদেন পক্ষে গোলাপের তোড়া?
ও বোধহয় ছবিটা ব্লকবাস্টার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তার আগে কিছু কমিট করবে না (হাসি)।
শোনা যাচ্ছে ‘মর্দানি’ রিলিজ হওয়ার পর মুম্বই পুলিশের মহিলা সিনিয়র ইন্সপেক্টররা খুব রেগে গিয়েছেন...
কেন?
কারণ আপনি মহিলা পুলিশদের স্ট্যান্ডার্ডটা এমন উঁচুতে সেট করে দিয়েছেন!
ওহ্ (হাসি)। না ওরা খুব খুশি। পুরো মুম্বই পুলিশ ফোর্স বলছে ওরা ছবিটা দেখে ভীষণ ইন্সপায়ার্ড। সবাইকে নাকি নাড়িয়ে দিয়েছে ছবিটা।
গোটা দেশে ‘মর্দানি’ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় আপনি নিশ্চয়ই মেঘের উপর ভাসমান?
মেঘের উপর ভাসমান নই। তবে আমার মোবাইলের ইনবক্স ফুল। ই-মেলও বোধহয় ফুল হয়ে যেতে পারে যে পরিমাণে গাদা গাদা মেল এসেছে।
সবচেয়ে মনে রাখার মতো মেসেজ?
অনেকেই! শাবানাজি ফোন করে বললেন রানি এটা আজ অবধি তোমার বেস্ট পারফর্ম্যান্স। শাবানাজির মতো মানুষ এটা বললে তো রোমাঞ্চিত লাগবেই!
এটাই সবচেয়ে মনে রাখার মতো?
আমিরের খুব ভাল লেগেছে। বলল ফিল্ম মেকিংটা ওর দারুণ ভাল লেগেছে। গোটা ব্যাপারটা।
আর?
রেখাজি। রেখাজি তো উচ্ছ্বসিত। আমায় বললেন, ‘রানি, ঈশ্বর তোমার জন্য এই রোলটা নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন। আর কোনও নায়িকাকে তো ভাবেননি। এটা মাথায় রেখো।’
বাহ্! ‘ব্ল্যাক’ থেকেও আপনি অনেক সম্মান পেয়েছেন। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যয়’ থেকে বক্স অফিস পেয়েছেন। কিন্তু এ রকম কিছু বোধহয় ঘটেনি?
না, ঘটেনি তো। যশ রাজ-য়েই তো ওরা বলছে, ‘চক দে’র পর এটা ওদের সবচেয়ে সাকসেসফুল ছবি হতে যাচ্ছে। আমার যেটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে তা হল আমরা ওই একশো কোটি-দু’শো কোটির বাণিজ্য নিয়ে কথা না-বলে মানুষের হৃদয়ে পৌঁছতে পেরেছি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, বিহারের আইজি এঁরা তো উচ্ছ্বসিত। রাজ্যের মাথারা এত উচ্ছ্বসিত বলে কয়েকটা রাজ্যে তো ‘মর্দানি’র কর মুকুব হয়ে গিয়েছে। ছবিটা একটা মুভমেন্ট হয়ে গিয়েছে! একটা বিপ্লব বলা যেতে পারে!
‘নো ওয়ান কিলড্ জেসিকা’
‘ব্ল্যাক’
‘নো ওয়ান কিল্ড জেসিকা’ করে আপনি কিন্তু এই সাড়াটা ফেলতে পারেননি।
নাহ্। জেসিকার কাহিনিটা আসলে ছিল সমাজের একটা নির্দিষ্ট অংশের জন্য। সেখানে ‘মর্দানি’ অ্যাপিল করেছে প্রত্যেক মেয়ের কাছে। প্রত্যেক মায়ের কাছে। প্রত্যেক মাসিমার কছে।
শ্যুটিং করার সময় ভেবেছিলেন এমন কিছু ঘটতে পারে?
আন্দাজ করেছিলাম মেয়েদের এটা খুব ভাল লাগবে। তারা অনেক সচেতন হবে। আইডেনন্টিফাই করতে পারবে নিজেদের সঙ্গে। কিন্তু পুরুষেরা যে এ ভাবে মুগ্ধ হয়ে যাবে, আগে বুঝিনি। জানতাম ওই প্রথম শুক্রবারটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট হতে যাচ্ছে। কিন্তু তার পর যে এমন ঢেউয়ের মতো ছবিটা ভাসিয়ে নেবে ভাবিনি।
আপনার বিপরীতে কাজ করা নতুন ভিলেন তাহির ভাসিনও তো সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
হ্যাঁ। মেঘের উপরে ভাসমান বলছিলেন না। ও এখন তাই। মেঘের উপর দিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে প্রশংসা (হাসি)। কী ফাটাফাটি অভিনয়টাই না করেছে!
আপনাকে আর আটকাচ্ছি না। কিন্তু একটা কথা বোধহয় শুনছেন...
কী?
‘মর্দানি’তে রানি চোপড়া-ই সব। পুরোটা তাঁর করা। পরিচালক প্রদীপ সরকার নিছকই নিমিত্ত।
ধ্যাত্, বাজে কথা। দাদা নিজের কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে এই রকম একটা ছবি বানিয়েছেন। সেটা লোকে কেন ঠিক স্পিরিটে নিচ্ছে না জানি না। আমার মতে ওঁর সমস্ত প্রশংসাটা প্রাপ্য। আর এই আলোচনাটা খুব অন্যায়।
শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তা হলে প্রথম ছবিই হিট!
হ্যাঁ, বাড়ির লক্ষ্মী তো (হা হা হা)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy