‘কবীর সিং’ ছবির দৃশ্যে শাহিদ এবং কিয়ারা
১৪ দিনে ২০০ কোটি উপর ব্যবসা করে ফেলেছে ‘কবীর সিং’। যত দিন যাচ্ছে বিতর্ক আর ‘কবীর সিং’ যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। যে পদ্ধতিতে গল্পের নায়ক কবীর একটি মেয়েকে পেতে চায় বা ডাক্তার হিসেবে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যা যা করে—এ সব কিছু নিয়ে মুক্তির দিন থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ছবিটি। ভালবাসা কি জোর করে হয়? ভালবেসে কাউকে না পেলে নির্দ্বিধায় চড় মারা যায় তাঁকে? এ সব প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল নেটিজেনদের মনে।
‘টু বি’ অর ‘নট টু বি'-এর অদ্ভুত মিশেলে মাখা ছবিটির পরিচালক আরও একবার বিতর্কের শিরোনামে। সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে ছবিটিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নানান বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে বেকায়দা মন্তব্য করে বসলেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আপনি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে অন্তর থেকে ভালবাসেন, সে ক্ষেত্রে আপনার ও আপনার পার্টনারের একে অপরকে চড় মারার অধিকার রয়েছে। এতে দোষের কিছু নেই। আপনি পুরুষ হলেও আপনার সেই অধিকার রয়েছে।”
ছবিটির একটি দৃশ্য উল্লেখ করে তাঁর বক্তব্য, “প্রীতি কবীরকে চড় মারতে পারলে কবীর-এর ও অধিকার রয়েছে তাঁকে চড় মারার। যে সম্পর্কে প্রেমিকাকে চড় মারারও অধিকার নেই, চুমু খাওয়ার অধিকার নেই, ছোঁয়ার অধিকার নেই আমি মনে করি সে সম্পর্ক আবেগহীন, নিষ্প্রাণ।”
আরও পড়ুন: দুই মেয়েকে নিয়ে ‘বটল ক্যাপ চ্যালেঞ্জ’ বাঙালি অভিনেত্রীর
পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার সঙ্গে শাহিদ কপূর
সমালোচকদের পরগাছার সঙ্গে তুলনা টেনে সন্দীপ আরও বলেন, “ছবিটিকে যারা সমালোচনা করছেন তাঁরা বাস্তব জীবনে কাউকে ভালবাসেননি। অথবা তাঁরা আমাকে অন্তর থেকে ঘৃণা করেন।” আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সন্দীপ এও যোগ করেন, যে যাই বলুক, “২১৮ কোটি ছাড়িয়েছে। খুব শীঘ্রই ৩০০ কোটি ছাড়াবে এই সিনেমা।”
অনেকে বলছেন, বারবার বিতর্কে জড়িয়ে আখেরে লাভই হয়েছে ছবিটির। লোকের মনে কৌতূহল জেগেছে। আর বক্স অফিসও উপচে পড়েছে ‘কবীর সিং’-এর সাফল্যে। এই বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল টলিউডের অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ‘কবীর সিং’ দেখিনি। তবে ‘অর্জুন রেড্ডি’ দেখেছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল, এই বিতর্কগুলো উঠবে। সিনেমা যেখানে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করে সেখানে কী দেখাব আর কী দেখাব না, তার একটা পরিধি থাকা প্রয়োজন।’’
আবার গায়িকা সোনা মহাপাত্র তাঁর টুইটারে এরকম একটি ডার্ক হিরোর চরিত্র বাছার জন্য তীব্র ভাষায় বিঁধেছিলেন শাহিদ কপূরকে। ছবিটিকে 'মিসোজিনিস্ট' ( নারীবিদ্বেষী) আখ্যা দিয়ে সোনা আরও বলেন, অভিনেতা হিসেবে শাহিদের কি কোনও সামাজিক দায়িত্ব নেই? গ্লাস ভাঙার জন্য পরিচারিকার দিকে তেড়ে যাওয়া, ছুরি দেখিয়ে পোশাক খোলানোর চেষ্টা, যখন ইচ্ছে যৌন-তাড়নায় ‘ঝাঁপিয়ে পড়া’ ! দরকার ছিল এসবের!
ছবিটিতে যেহেতু এক ডাক্তারের জীবনযাপন দেখানো হয়েছে, তাই সেই মহল থেকেও আপত্তি উঠেছে। ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও মদ, সিগারেটকে যে ভাবে ব্যর্থ প্রেমিকের হাতিয়ার হিসেবে দেখানো হয়েছে, তা বিস্মিত করেছে অনেককে।
আরও পড়ুন:যেন হুবহু কপিল! জন্মদিনে ’৮৩ –র লুক পোস্ট রণবীরের
সম্প্রতি শাহিদ একটি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তাঁর মোদ্দা বক্তব্য, যাবতীয় নিন্দেমন্দ সত্ত্বেও দর্শক যে তাঁর চরিত্র কবীরকে ভালবেসেছেন এবং ভুল বোঝেননি, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা সকলেই ভুল করি। তার থেকে শিক্ষাও নিই। তাই কবীরকে বিচার না করে তাকে বোঝার চেষ্টা করা উচিত।’’
তবে এ সবের মধ্যে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার এই বিতর্কিত মন্তব্য কি আগুনে ঘি ঢালল কিছুটা? উত্তরের অপেক্ষায় বলি-ফ্রিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy