ফাইল চিত্র।
অস্কার মঞ্চে চড়-কাণ্ডের পর ক্ষমা চেয়েছেন একাধিক বার। বহু বার ক্রিস রকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করেছেন। বরফ গলেনি। প্রতি বারই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে উইল স্মিথকে। বলা হয়েছে, কৌতুকশিল্পী ক্রিস এখনও কথা বলতে প্রস্তুত নন। যখন হবেন, উইলকে ডেকে নেবেন। কিন্তু ছটফট করছিলেন অভিনেতা নিজেই। শেষমেশ একটি ভিডিয়োবার্তায় ফের নিজের মুখেই ক্ষমা চাইলেন নিজের কৃতকর্মের জন্য।
ভিডিয়োয় স্মিথ জানিয়েছেন, অস্কার মঞ্চে চড় মারার মুহূর্তে মাথায় যেন আগ্নেয়গিরি চেপেছিল তাঁর। তার পর ধীরে ধীরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করেছেন। বুঝেছেন নিজের দোষ কতটা ছিল। ভিডিয়োবার্তায় ক্রিস এবং তাঁর পরিবারের উদ্দেশে ক্ষমাপ্রার্থনা করে অভিনেতা বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমার ভিতরকার কোনও সত্তাই চায়নি এমন হঠকারী কাজ করতে। কিন্তু করে ফেলেছি ক্রোধের বশে। করার সময়ে মাথা কাজ করেনি। পরে অনুশোচনা হচ্ছে। আমি বুঝতে পারিনি আঘাতটা এত জন মানুষের বুকে বেজেছে। ক্রিসের মায়ের সাক্ষাৎকার শুনেছি। আমি তাঁর কাছে বিশেষ ভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। সেই সঙ্গে নিজের পরিবারকেও লজ্জার মধ্যে ঠেলেছি। তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার স্ত্রী, সন্তানদের কাছেও। না, বিশ্বাস করুন, আমার স্ত্রী জাডার কোনও হাত নেই এতে। যা করেছি, আমি করেছি। তাই আমার অপেক্ষা ক্রিসের জন্য। এক বার তিনি যদি আমার সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলতে রাজি হন, আমি সবটা মিটিয়ে নিতে চাই।”
৩ মাস আগের ঘটনা। তবু এখনও তার ধিকিধিকি আঁচ অ্যাকাডেমির উঠোনে। ২০২২ অস্কার মঞ্চে কৌতুকশিল্পী ক্রিসকে সপাটে চড় মেরেছিলেন স্মিথ। ক্রিস তাঁর স্ত্রী জাডা পিংকেট স্মিথের মাথায় চুল কম থাকা নিয়ে মাত্রাছাড়া রসিকতা করে বসেন। অ্যালোপেশিয়া অর্থাৎ কেশহীনতার মতো দুরারোগ্য অসুখে আক্রান্ত জাডাকে নিয়ে সেই রসিকতা নেমে নিতে পারেননি মার্কিন অভিনেতা। তাই নিজেকে সামলাতে না পেরে তিনিও ক্রিসকে আক্রমণ করেন। সেই ঘটনার অভিঘাতে থমথমে পরিবেশ এখনও কাটেনি। লাভ হয়নি ক্ষমাপ্রার্থনাতেও। আগামী দশ বছরের জন্য অ্যাকাডেমিতে নিষিদ্ধ হয়েছেন ‘কিং রিচার্ড’-এর অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy