‘কুলি নাম্বার ওয়ান’-এর সেটে বরুণ-সারা
গত ছ’-সাত মাসে নামজাদা ব্যানার থেকে ছোটখাটো নির্মাতা সকলের ছবিই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। নির্মাতাদের যুক্তি, সিনেমা হল বন্ধ থাকার ফলেই ওটিটি রিলিজ়। কারণ মন্দার বাজারে বিনিয়োগের একটা অংশ অন্তত তাঁরা সুরক্ষিত করতে চাইছিলেন। এ দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, ১৫ অক্টোবর থেকে সিনেমা হল খোলা যাবে। যদিও মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্য অক্টোবরে প্রেক্ষাগৃহ খুলবে না বলে জানিয়েছে। তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ সব রাজ্যেই সিনেমা হল খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্মাতাদের একটা অংশ ওটিটি রিলিজ়েই আস্থা রাখছেন। বরুণ ধওয়ন-সারা আলি খান অভিনীত ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’ ডিসেম্বরে অ্যামাজ়ন প্রাইমে মুক্তি পাবে। ওই প্ল্যাটফর্মেই আসছে রাজকুমার রাওয়ের ‘ছলাং’, ভূমি পেডনেকরের ‘দুর্গাবতী’।
সিনেমা হল যেখানে খুলে যাচ্ছে, সেখানে ওটিটি রিলিজ়ের প্রবণতা কেন? এক, সিনেমা হলে রিলিজ় করতে হলে কিছু অতিরিক্ত খরচ থাকে। প্রোমোশনের খরচও তখন বেড়ে যায়। দুই, অনেক প্রযোজকই তিন-চারটি ছবি প্যাকেজ করে ওটিটি সংস্থাকে বিক্রি করে ফেলেছে। ফলে হল খুলে গেলেও চুক্তিমতো ওটিটিকেই ছবি দিতে হবে তাঁদের। তিন, দর্শক আদৌ আসবেন তো? এই আশঙ্কাই সবচেয়ে জোরালো। বিদেশের নানা জায়গায় সিনেমা হল খুলে গেলেও দর্শক সমাগম সে ভাবে হয়নি। যে কারণে ‘ওয়ান্ডার উওম্যান নাইন্টিন এইটিফোর’, ‘ব্ল্যাক উইডো’, জেমস বন্ডের ছবির মুক্তি ফের পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তবে কিছু প্রযোজক এখনও সিনেমা হলে ছবি রিলিজ়েরই পক্ষপাতী। পরিচালক আবির সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি ‘ইন্দু কী জওয়ানি’ হলে রিলিজ় করবেন। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ছবি ‘দিল বেচারা’ও হলে মুক্তি পাবে। পে-পার ভিউ মডেলে রিলিজ় করার পরে আগামী শুক্রবার হলে মুক্তি পাবে ‘খালি পিলি’। বাংলা ছবির প্রযোজকদের ভোট হল রিলিজ়ের দিকেই। পুজোর সময়ে একগুচ্ছ বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ডিসেম্বরে আসবে ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘মায়াকুমারী’, ‘হাবজি গাবজি’। তবে ‘টনিক’ শীতের ছুটির বদলে পরের বছর গরমের ছুটিতে আসতে পারে। কারণ সেই একই। ডিসেম্বরেও দর্শক হলে আসবেন তো? তাই এই মুহূর্তে ওটিটির দিকে পাল্লা ভারী বলে মনে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy