প্রতীকী ছবি।
টলি ইন্ডাস্ট্রিতে দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করেন, লকডাউনের সময় সেই সব শিল্পীদের অবস্থা খুবই খারাপ। কাজ নেই। ফলে পারিশ্রমিকও নেই। কী ভাবে দিন চলছে তাঁদের? এ কথা ভেবেই সেই সব শিল্পীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে আর্টিস্ট ফোরাম।ইতিমধ্যেই ফোরামের তরফে ৫ লক্ষ টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। ফোরামের সদস্য-সহ সমস্ত প্রযোজক, চ্যানেল এবং প্রতিষ্ঠিত অভিনেতাদের কাছে চাওয়া হয়েছে অর্থ সাহায্য। তথাকথিত ইন্ডাস্ট্রির লোক না হয়েও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও তিনি কতটা অর্থসাহায্য করেছেন তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ফোরাম কর্তৃপক্ষ।
আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অনেক ফিল্মস্টারও এগিয়ে এসেছেন। অভিনেতা জিৎ যেমন মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। দু’টি প্রযোজক সংস্থাও এগিয়ে এসেছে। বাংলা টকিজ এবং শ্যাডো ফিল্মস নামক ওই দুই সংস্থাও টাকা দিয়েছে। অভিনেতাদের মধ্যে চিরঞ্জিৎ, অপরাজিতা আঢ্য, এনা সাহা— অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অবদানও রয়েছে।”
ঠিক কী ভাবে এগোতে চাইছে আর্টিস্ট ফোরাম? ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলা তহবিল থেকে দুঃস্থ শিল্পীদের মাসিক ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, যাতে তাঁরা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খাবারটুকু কিনতে পারেন। সে জন্য আর্টিস্ট ফোরামের কাছে আবেদন জানাতে হবে সরাসরি। তা হলেই এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে ওই সব শিল্পীদের কাছে মাসিক দু’হাজার টাকা পৌঁছে দেবেন ফোরাম কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই সেই তহবিলে ফোরামের ৫ লক্ষ টাকা সহ জমা পড়েছে মোট ১৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ১০৯ টাকা। তা থেকে দুঃস্থ শিল্পীদের জন্য খরচ করা হয়েছে ৭ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন- রাজের পরিচালনায় টলিউডের গানের বার্তা, সঙ্গে বড় চমক মমতার
অরিন্দম বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৫১২টি আবেদন আমাদের কাছে জমা পড়েছে। মনে হচ্ছে, ব্যাপারটা অনেক দূর টানতে হবে। লকডাউন কাটলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যাবে। তত দিন ওঁরা খাবেন কী? অন্তত নুন,তেল, ভাতের জোগানটা তো হোক।”
এর আগে ফিল্ম ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়েছিল, আর্টিস্ট ফোরামকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু সে দাবির প্রেক্ষিতে অরিন্দমের বক্তব্য, “ফেডারেশন এখন বেশ বড়সড় একটি ফান্ড তৈরি করেছে। কিন্তু সবার আগে ফেডারেশনকে কলাকুশলীদের জন্য তিন লক্ষ টাকা দিয়েছিল আমাদের ফোরাম।”
আরও পড়ুন- করোনার জেরে কোন কোন বলিতারকার বিয়ে ভেস্তে গেল
শুধু জুনিয়র আর্টিস্টই নন, ‘টি-বয়’, অর্থাৎ সেটে যাঁরা চা সরবরাহ করেন, তাঁদের পাশেও দাঁড়িয়েছে ফোরাম। এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছেন অভিনেতা জিৎ। থিয়েটারের নেপথ্যকর্মীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন অরিন্দম।
টলি-ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে? লকডাউন কাটলেও এতটা অর্থের ক্ষতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যাবে সে বিষয়ে আপাতত কিছু ভাবতে চায় না ফোরাম। আপাতত ইন্ডাস্ট্রিরই অংশ ওই সব মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চায় তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy