এই অদ্ভুত বাড়ির অদ্ভুত সব মানুষেরা।
এ যুগের শেষ রূপকথার নাম ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’। সেই রূপকথা এ বার সেলুলয়েডে।
এই অদ্ভুত বাড়ির অদ্ভুত সব মানুষেরা আনন্দবাজার ডিজিটালের জন্য আড্ডা দিতে বসলেন অ্যাস্টরে। সামনে অ্যাস্টরের সুস্বাদু কাবাব।
শুরু হল আড্ডা...উঠে এল গানের নানা প্রসঙ্গ।
উইনডোজ প্রোডাকশনের এই ছবিতে পরিচালক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন,‘‘কলকাতায় শিলাদার থেকে ভাল ডাকাত আর কেউ নেই। ও তো কাস্টমাইজড ডাকাত। ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এভেবেও শিলাদাকে কাস্ট করতে পারিনি। আসলে সব দিক থেকেই ডাকাতের চরিত্রে ওকেই মানায়।’’
সেই শিলাজিৎকে নিয়েই শুরু হল আড্ডা।
‘‘আসলে অনিন্দ্য যখন এই ছবির গানের দায়িত্ব আমায় দিতে চায় আমি খুব অবাক হয়েছিলাম। মানে, চন্দ্রবিন্দু থাকতে আমি! চন্দ্রবিন্দু তো ভেঙেচুরে যা খুশি করার ক্ষমতা রাখে! অনিন্দ্য ব্রিফ করেছিল। একটা কাকের গান, একটা ডাকাতের গান, একটা কীর্তনের মেজাজে কান্না কান্না গান আর একটা লুচি...অনিন্দ্য এ ভাবেই বলে কারণ ওর স্ক্রিপ্ট পাওয়া যায় না। ফোনে সিইও-র মতো আদেশ আসে।’’ হাসতে হাসতে বললেন শিলাজিৎ।
আরও পড়ুন, বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন এই বলি নায়িকারা
কাক নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে পোঁছনো গিয়েছিল।চন্দ্রিল ভট্টাচার্য। শিলাজিৎ মজুমদারের সঙ্গীত পরিচালনায় ‘কাক’ গেয়েছেন তিনি। শিলাজিতের বিখ্যাত গান ‘অ্যান্টেনা’-র সুরেই এই গান বদলেছে কথা। নতুন ভার্সানে গলা শোনা যাবে চন্দ্রিলের।
কিন্তু লুচির গান কী হবে? গাইবে কে? এ নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল প্রচুর। খ্যাদা সাদা লাল পেড়ে পুজোর সাজে আড্ডায় উপস্থিত। তাঁর দিকে চেয়ে শিলাজিৎ বললেন, ‘‘অনিন্দ্য বলল লুচির গান গাইবে খ্যাদা। আমি যত বলি খ্যাদাকে দিয়ে টপ্পা হবে না। ও টপ্পা রেওয়াজ করতে বললেও করবে না। ও আমার কথা শোনে না...অনিন্দ্য সে সবে কর্ণপাত না করে বলল, লুচির গান গাইবে খ্যাদা।’’
আসলে লুচির গানের গ্রাম্য ভাব খ্যাদার গলা থেকেই চমৎকার ভাবে এসেছে। আড্ডায় গেয়ে উঠলেন খ্যাদা। ‘ওগো লুচি...’।
অমৃতলাল বসু ও রামনিধি গুপ্ত ত্রিভুবনে লুচির মান্যতাকে নিয়ে বেঁধেছেন কালজয়ী এক গান। এবার সেই গানকেই নতুনভাবে হাজির করা হল বাংলা ছবিতে।
বাংলা ছবির গানে আবার নতুন গলা। নতুন কণ্ঠের সঙ্গে বাঙালির পরিচয়। উইনডোজের সিগনেচার এই ছবির বিন্যাসে। নতুন অভিনেতা থেকে গায়ক, এক ঝাঁক নতুনের মাঝে রূপকথার আলো।লুচির গান শুনে মনে হল, বাঙালি অমরত্ব না পাক, অমৃতের স্বাদ পেয়েছে তো বটেই। সেই কারণে ঘুঙুরের মজলিশি আড্ডায় মিশে গেছে লুচির গন্ধ!
আরও পড়ুন, গাইব কী ভাবে! মশায় কাবু শান
এ ছবির গানের দিগন্তে আছে আরও বড় চমক। আড্ডায় জানা গেল এই ছবিতে প্রথমবার প্লেব্যাক করছেন আবির চট্টোপাধ্যায়।
রজতাভ দত্ত এবং আবির চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে গেয়েছেন গান। তা-ও আবার যেমন তেমন ভাবে নয়, এক ডাকাতির সিকোয়েন্সে এই গান গাইতে দেখা যাবে তাঁদেরকে। শিলাজিতের কথায় ও সুরেও আছে বৈচিত্র,‘ডাকাত হব আস্তে আস্তে’। সুরও দিয়েছেন তিনি। পেশাদার গায়কদের দিয়ে গানটি গাওয়ানো হলে সেই মজা থাকতনা। তাই ছবির চরিত্রের সঙ্গে মানানসই করার জন্য চরিত্রের অভিনেতারাই গানটি গেয়েছেন। আর তাতেই যেন মজার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। আড্ডায় যদিও রজতাভ গান গাইলেন না, ‘‘আসলে এটা আলাদা একটা গান নয়। ছবির দৃশ্য সাউন্ডস্কেপ এমন ভাবে মিশে আছে এর সঙ্গে যে এ ভাবে আড্ডায় গাওয়া যাবে না।’’
আড্ডা জমে উঠল...রূপকথার রাজ্য যেন তখন সুরনগর!
লোকেশন সৌজন্যে- অ্যাস্টর
মেক আপ- মহম্মদ ইউনুস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy