বিদ্যা জানালেন, চিরকালই বাংলা ছবি তাঁকে মুগ্ধ করে। বাংলা ছবি দেখেই বড় হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রথম বড় পর্দায় পা রাখা বাংলা ছবির দৌলতেই। ‘ভাল থেকো’-তে অভিনয় করেছিলেন অবাঙালি বিদ্যা। ২০০৩ সালে সেই ছবি পরিচালনা করেছিলেন গৌতম হালদার।
বিদ্যার সত্যজিৎ-প্রীতি
সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ দেখে এত ভাল লেগেছিল, খাতা কলম নিয়ে বসে গিয়েছিলেন ছোট্ট বিদ্যা বালন। পরিচালককে লিখে ফেলেছিলেন মস্ত এক চিঠি। কিন্তু ডাকঘর পর্যন্ত গিয়ে উঠতে পারেননি কোনও দিন। সেই আক্ষেপ বিদ্যার আজও রয়ে গিয়েছে। তার পরে এক দিন জানতে পারেন, প্রয়াত হয়েছেন তাঁর প্রিয় পরিচালক। খুব কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। সেই ছোটবেলাতেই যন্ত্রণা অনুভব করেছিলেন। আজ যখন তিনি প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী, তখন যেন সেই কষ্টটা আরও বেড়ে যায়। মনে হয়, ‘ইশ, যদি আজ বেঁচে থাকতেন, সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিতে অভিনয় করতে পারতাম!’
সম্প্রতি নায়িকা তাঁর সত্যজিৎ-প্রীতির কথা বলেন এক সাক্ষাৎকারে। বিদ্যার কথায়, ‘‘অনেকেই ‘চারুলতা’ এবং ‘পথের পাঁচালী’ নিয়ে মাতামাতি করেন। তবে আমার সব থেকে বেশি পছন্দ ‘মহানগর’। সেই ছবি যে আমার ভিতরটা কী ভাবে ওলটপালট করে দিয়েছিল, কী ভাবে বোঝাব!’’
বিদ্যা জানালেন, চিরকালই বাংলা ছবি তাঁকে মুগ্ধ করে। বাংলা ছবি দেখেই বড় হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রথম বড় পর্দায় পা রাখা বাংলা ছবির দৌলতেই। ‘ভাল থেকো’-তে অভিনয় করেছিলেন অবাঙালি বিদ্যা। ২০০৩ সালে সেই ছবি পরিচালনা করেছিলেন গৌতম হালদার।
বিদ্যা বললেন, ‘‘অনেকে বলেন, আমাকে নাকি পাশ থেকে মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মতো দেখতে। খুব গর্ব বোধ করি এই কথাটি শুনে।’’
বিদ্যার ঘরে সত্যজিতের সমস্ত ছবির চরিত্রদের নিয়ে একটি ছবি আঁকা রয়েছে। ছবির পোস্টারে ভর্তি হয়ে গিয়েছে দেওয়াল। কিন্তু সেই পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে না পারার আক্ষেপ আজও হয় তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy