বিদ্যা বালন। সংগৃহীত।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের কথা বা অন্য কোনও বিতর্কিত প্রসঙ্গে মুখ খুলতে কখনও পিছপা হন না বিদ্যা বালন। কিন্তু, রাজনীতি! নৈব নৈব চ। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বললেন, “রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে ভয় করে। কী জানি বাবা, কখন বয়কট করে দেবে আমাকে!”
অভিনেত্রী জানালেন, তাঁর সঙ্গে কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে বর্তমানে বিনোদন জগতের মানুষেরা রাজনৈতিক মতামত দেওয়ার আগে দু’বার ভাবেন। বিশেষ করে, কোনও ছবি মুক্তির সময় বয়কট প্রসঙ্গে তাঁদের আরও সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, একটি ছবির সঙ্গে প্রায় ২০০ মানুষের উপার্জন জড়িয়ে থাকে। অভিনেত্রীর কথায়, “কোন কথা কখন যে কার খারাপ লেগে যাবে...! আমি সেই কারণে রাজনীতি থেকে দূরে দূরেই থাকি।”
ইন্ডাস্ট্রিতে নজরে আসতে হলে অভিনয়দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। আবার ভাল কাজ করলেও অন্যের চক্ষুশূল হতে হয়! এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর বক্তব্য, “আমি যখন সবে কাজ শুরু করেছি, আমাকে নিয়ে নানা কথা শুরু হয়। এ বার সেটা আমার কাজ দেখে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন কি না, জানি না। আমি তো ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার জন্যই এসেছি। মাফ করবেন, ইন্ডাস্ট্রি কারও বাবার জায়গা নয়।”
‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবিতে অভিনয় করে শিরোনামে এসেছিলেন বিদ্যা বালন। ছবি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানালেন, এই ছবি করতে গিয়ে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। সাহসী পোশাক পরা নিয়েও একরাশ সংশয় ছিল মনে। অভিনেত্রী বললেন, “স্বল্পদৈর্ঘ্যের পোশাক, শরীর দেখানো পোশাক পরা নিয়েও সংশয়ে ছিলাম। তার উপর ওই ধরনের নাচ...! যখন ভেবেছিলাম, অভিনেত্রী হব, কখনও কল্পনা করিনি যে এই ধরনের কাজ করব। সাময়িক ভাবে মনে হয়েছিল, এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। আবার পরক্ষণেই মনে হয়েছিল, ক্যামেরায় দর্শক আমাকে ওই ভাবে দেখবেন...!” ছবি মুক্তির পরে শরীরকেন্দ্রিক শব্দ দিয়ে সম্বোধন করা হত তাঁকে, জানালেন অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy