উত্তম কুমার-সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের খুলনার মেয়ে তিনি। কলকাতা দেখার ইচ্ছা হয়েছিল। বাবার সঙ্গে জেদ করে শহরে এসেছিলেন। কলকাতায় এসে যে জীবন এই ভাবে বদলে যাবে, সেটা নিজেই বুঝতে পারেননি প্রবীণ অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। টলিপাড়ায় তিনি নয় নয় করে কাটিয়ে ফেলেছেন ৬০ বছরেরও বেশি। এত বছর শুধুই কাজ করে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
সে যুগে নায়িকার চোখে মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক, প্রযোজকরা, নায়কেরা। রূপ, গুণ— সব কিছু থাকার পরেও কেন তিনি বিয়ে করলেন না? এই প্রশ্ন এত বছরে অনেক বারই তাঁকে করেছেন অনেকে। বেশ অনেক দিন আগে ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে এসেছিলেন সাবিত্রী। তাঁকে সামনে পেয়ে সেই প্রশ্ন করার লোভ সামলাতে পারলেন না সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকলের সামনে করেই বসলেন প্রশ্নটা। রচনার প্রশ্ন ছিল, কেন সাবিত্রীদেবী এখনও বিয়ে করেননি।
এই প্রশ্ন শুনে উত্তর দিতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেননি প্রবীণ অভিনেত্রী। সকলের সামনে হাসতে হাসতে বলেন, “যখনই যাঁর সঙ্গে প্রেম করতে যাই, তখনই তাঁর একটা করে বৌ থাকে। জীবনে কাউকে খালি পেলাম না। এখনও যদি কোনও খালি অর্থাৎ একা মানুষকে পাই অবশ্যই বিয়ে করে নেব।” সাবিত্রীর উত্তর শুনে হাসি যেন থামে না। তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগী হিসাবে ছিলেন রত্না ঘোষাল, চিত্রা সেন এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়ও। তাঁরাও প্রবীণ অভিনেত্রীর কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়লেন। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, মহানায়ক উত্তমকুমারকে ব্যক্তিগত ভাবে নাকি খুবই পছন্দ করতেন সাবিত্রী। উত্তম-সাবিত্রী জুটির ছবিও দর্শকের বেশ পছন্দ ছিল। ইদানীং তাঁকে বাংলা সিরিয়ালেও দেখেছেন দর্শক। তবে এখন কাজ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন সাবিত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy