Veteran actor Amol Palekar has been cordial with his daughter and ex wife long after divorce dgtl
bollywood
বিচ্ছেদের ১৮ বছর পরেও অটুট অমল-চিত্রার সম্পর্ক, সমকামী কন্যার লড়াইয়েও পাশে
১৯৬৯ সালে বিয়ে করেন অমল-চিত্রা। চার বছর পরে, ১৯৭৩-এ জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে শাল্মলীর। চিত্রাও ছবি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তিনি সমাজকর্মী। বহু বিষয়ে কাজ করেছেন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১০:৪৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
বড় হয়েছেন মধ্যবিত্ত সংসারে। বড় পর্দায় নতুন রূপে তুলে ধরেছিলেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির নিপাট সাধারণ মুখকে। তথাকথিত সুপারম্যান নায়কের ধারণার বাইরে অমল পালেকর বলিউডের ‘কমন ম্যান’।
০২১৪
অমলের জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৪ নভেম্বর। তাঁর বাবা কমলকর ছিলেন মুম্বই জিপিও-র কর্মী। মা সুহাসিনী কাজ করতেন বেসরকারি ব্যাঙ্কে। তিন বোনের সঙ্গে অমলের বড় হওয়া মুম্বইয়ের মধ্যবিত্ত পরিবেশে।
০৩১৪
জে জে স্কুল অব আর্টস-এ অমল ছিলেন ফাইল আর্টস-এর ছাত্র। থিয়েটার জীবন শুরুর আগে প্রচুর চিত্র প্রদর্শনী করেছেন তিনি। এখনও ছবি আঁকা তাঁর প্রথম প্রেম। পরে পূর্ণ সময়ের ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে অমল পা রাখেন অভিনয় জগতে।
০৪১৪
ছ’য়ের দশকের শেষ থেকে অমল হিন্দি ও মরাঠি থিয়েটারকর্মী হিসেবে পথ চলা শুরু করেন। তিনি ছিলেন একাধারে পরিচালক-অভিনেতা-প্রযোজক। সত্যদেব দুবের সঙ্গে মিলে অমল কাজ করেছেন পরীক্ষামূলক থিয়েটারের বিভিন্ন শাখায়। ১৯৭২ সালে শুরু করেন নিজের দল, ‘অনিকেত’।
০৫১৪
মরাঠি সিনেমা জগতেও নতুন ধরণের ছবির যুগ শুরু হয় সত্যদেব দুবের হাত ধরে। তাঁর পরিচালনাতেই প্রথম অভিনয় অমলের। ১৯৭১ সালে মরাঠি ছবি ‘শান্তত! কোর্ট চালু আহে’-তে প্রথম অভিনয় অমলের।
০৬১৪
১৯৭৪ সালে তিনি অভিনয় করেন বাসু চট্টোপাধ্যায়ের দু’টি ছবি ‘রজনীগন্ধা’ এবং ‘ছোটি সি বাত’-এ। দু’টি কম বাজেটের ছবিই অপ্রত্যাশিতভাবে সুপারহিট হয়। একই ঘরানার ছবিতে পরপর অভিনয় করেন অমল। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘গোলমাল’, ‘নরমগরম’। ‘বাতোঁ বাতোঁ মেঁ’ ছবিতেও অমল পাশের বাড়ির সাধারণ ছেলে।
০৭১৪
বারবার নায়কের লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ ভেঙেছেন অমল। প্রতিবারই বক্স অফিসে সফল হয়েছে তাঁর ঘরোয়া এবং মনে দাগ কেটে যাওয়া অভিনয়। অমলের জনপ্রিয় অন্য ছবিগুলির মধ্যে ‘জীবন জ্যোতি’, ‘চিতচোর’, ‘ঘরোন্দা’, ‘ভূমিকা’, ‘সফেদ ঝুট’, ‘রং বিরঙ্গি’, ‘ষোলওয়া সাওয়ন’ এবং টেলিভিশনের জন্য ‘আদমি অউর অওরত’ উল্লেখযোগ্য।
০৮১৪
পাঁচবার জাতীয় পুরস্কারজয়ী অমল হিন্দি, মরাঠির পাশাপাশি অভিনয় করেছেন বাংলা, কন্নড় ও তেলুগু ছবিতেও। তাঁর পরিচালিত ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘থোড়াসা রুমানি হো যায়ে’,‘পহেলি’,‘সমান্তর’ এবং ‘কোয়েস্ট’।
০৯১৪
থিয়েটারে অভিনয় সূত্রেই ছ’য়ের দশকের মাঝামাঝি অমলের আলাপ চিত্রার সঙ্গে। তাঁদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের পথে উত্তরণে প্রধান অনুঘটক ছিল থিয়েটার।
১০১৪
১৯৬৯ সালে বিয়ে করেন অমল-চিত্রা। চার বছর পরে, ১৯৭৩-এ জন্ম তাঁদের একমাত্র মেয়ে শাল্মলীর। চিত্রাও ছবি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তিনি সমাজকর্মী। বহু বিষয়ে কাজ করেছেন অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে।
১১১৪
অমল-চিত্রার তিন দশকেরও বেশি পুরনো দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০১ সালে। বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে অমল সে বছরই বিয়ে করেন সন্ধ্যা গোখলেকে। পেশায় আইনজীবী সন্ধ্যা দশ বছর প্র্যাকটিস করেছিলেন আমেরিকায়। পরে লেখালেখির টানে পাকাপাকিভাবে চলে আসেন ভারতে। অমল-সন্ধ্যার একমাত্র মেয়ে সমীহা ভবিষ্যতে স্পোর্টস ল’ ইয়ার হতে চান।
১২১৪
অমল-চিত্রার মেয়ে শাল্মলী অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যাপনা করেন। মেয়ের জন্য আজ এলজিবিটি আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিত্রা পালেকর। এই থিয়েটারকর্মী ন’য়ের দশকে জানতে পারেন, তাঁর মেয়ে শাল্মলী সমকামী। মেয়ের কাছ থেকে সত্যিটা শুনে প্রথমে ধাক্কা খেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মেনেও নিয়েছেন মেয়ের পছন্দকে। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন চিত্রা।
১৩১৪
অস্ট্রেলিয়ায় শাল্মলী তাঁর সঙ্গিনীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ‘লিভ ইন’ করেন। চিত্রা এবং শাল্মলীর সঙ্গে অমল-সন্ধ্যার সম্পর্ক তিক্ত নয়। বিচ্ছেদের পরেও ‘পালেকর’ পদবী-ই ব্যবহার করেন চিত্রা। অমলের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান সমীহার সঙ্গেও শাল্মলীর সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ।
১৪১৪
নিজেকে নিরীশ্বরবাদী বলে পরিচয় দেন অমল। সম্প্রতি ২৫ বছর পরে তিনি আবার ফিরেছেন মঞ্চাভিনয়ে। পাশাপাশি, চলছে ছবি আঁকাও। নিজের মতো করেই জীবনকে উপভোগ করছেন ‘গোলমাল’-এর রামপ্রসাদ শর্মা ওরফে লক্ষ্মণপ্রসাদ শর্মা।