বেজায় চটেছে উত্তরাখণ্ডের দু’টি পুরোহিত সংগঠন— চার ধাম তীর্থ পুরোহিত মহাপঞ্চায়েত এবং ব্রহ্ম কপাল তীর্থ পুরোহিত পঞ্চায়েত সমিতি। তারা উর্বশী রৌতেলার ‘দেবীত্ব’ মানতে নারাজ। শনিবার তারা অভিনেত্রীকে ভর্ৎসনা করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে। এতেই বিষয়টি মেটেনি। খবর, ওই দিনই পুরোহিতেরা পরে দেহরাদূন থানায় যান। ডিজিপি দীপম শেঠের কাছে দু’টি পৃথক স্মারকলিপি জমা দেন অভিনেত্রীর নামে। পুলিশের কাছে তাঁদের আর্জি, শীঘ্রই যেন অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়।
গত দু’দিন ধরে উর্বশীর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বদ্রীনাথের কাছে একটি মন্দির তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। দুই গোষ্ঠীর দাবি, অভিনেত্রীর বক্তব্য মিথ্যা। এই ধরনের বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। স্থানীয়েরা তো বটেই, তীর্থযাত্রীরাও উর্বশীর এই বক্তব্যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। দু’টি পৃথক স্মারকলিপিতে সে কথাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে খবর। স্মারকলিপিতে লেখা হয়েছে, “উর্বশী রৌতেলা বদ্রীনাথ মন্দিরের কাছে অবস্থিত উর্বশী মন্দির সম্পর্কে একটি মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, উর্বশী মন্দিরটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলছেন, দক্ষিণ ভারতেও একই নামে একটি মন্দির স্থাপন করা উচিত। এই বক্তব্য সনাতন ধর্ম এবং মা উর্বশী দেবীতে বিশ্বাসীদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাই বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি চেয়ে পুলিশি পদক্ষেপ চাইছেন সকলে।”
আরও পড়ুন:
পরে উত্তরাখণ্ড চারধাম তীর্থ পুরোহিত মহাপঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক ব্রিজেশ সতী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “অভিনেত্রী আদতে সস্তা প্রচার করতে গিয়ে এই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন। তিনিও উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা। তাঁর এ বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকা উচিত। স্থানীয়দের সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে তাঁকে আরও ওয়াকিবহাল হতে হবে।” তাঁর মতে, যতই তারকা হোন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অধিকার তাঁর নেই। যদি পুলিশ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তা হলে দুই সংগঠন একজোট হয়ে পদক্ষেপ করার কথা ভাববে, এ কথাও জানান উত্তরাখণ্ড চারধাম তীর্থ পুরোহিত মহাপঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক।