উস্তাদ রাশিদ খান এবং জয়িতা বসু খানের বিবাহবার্ষিকীতে বসেছিল চাঁদের হাট।
তাঁদের বিবাহবার্ষিকী। যিনি আমন্ত্রণ করছেন এবং যাঁরা আমন্ত্রিত—তাঁদের নাম শুনলেই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এই অনুষ্ঠান সংগীতময় হয়ে উঠবে। উস্তাদ রাশিদ খান এবং জয়িতা বসু খানের বিবাহবার্ষিকীতে উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ, বাবুল সুপ্রিয়, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় সরকার, শ্রীজাত, লোপামুদ্রা মিত্র এবং রাজ চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য এবং চন্দ্রাণী সিংহ ফ্লোরার মতো বিশিষ্টজন।
রাশিদের নাকতলার বাড়িতেই বসেছিল আটপৌরে আসর। যেখানে কিশোর কুমারের ‘হামে তুমসে প্যায়ার কিতনা’-র সঙ্গে ‘জ্যাম’ শুরু করেন রাশিদ। লয় এক রেখে এর পরই বাবুল ধরেন ‘গুম হ্যায় কিসিকে’, রাশিদ মাঝ খানে জুড়ে দেন ‘আয়ে না বালাম’ ঠুংরির অংশ। তার পর জিতের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘ওরে পিয়া রে…।’
মাঝে মাঝে চলতে থাকে রাশিদের সরগম কিংবা আওচার। প্রতিটি গানকেই যা ভিন্ন মাত্রা দেয়। ছবি তোলার দায়িত্ব নিজেই নেন পরিচালক-প্রযোজক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
রাশিদ-জয়িতার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাশিদ-পুত্র আরমানও। বাবার সঙ্গে তিনিও গলা মেলান। রাশিদের স্ত্রী জয়িতা বলছিলেন, ‘‘আমাদের বিবাহবার্ষিকীর দিন কাছের বন্ধুদের নিয়ে একটু গল্প, গানবাজনা হল। একেবারে ঘরোয়া ভাবে গানবাজনা করে আমরা বেশ কয়েক ঘণ্টা কাটালাম। এই বিবাহবার্ষিকীর দিনটা মনে থাকবে।’’
৩০টি বসন্ত পার করেছেন তাঁরা। এক সঙ্গে ৩০ বছর পথচলা স্মরণীয় করে রাখতেই ছিল ওই আয়োজন। ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে শ্রীজাত লিখেছেন, ‘গানের মেজাজ ধার করি আর ভালবাসাও শিখি। আড্ডা চলুক, আজ দু’জনের বিবাহবার্ষিকী।’
রাশিদ বলেন, ‘‘এমনিতেই এখন সবার মন মেজাজ সব সময় ভাল থাকে না। তার মধ্যে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গান-বাজনা করে একটু অন্য ভাবে কাটল একটা সন্ধ্যা। আমাদের দু’জনের বিয়ের দিনটা এ ভাবেই কাটাতে চেয়েছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy