রবিবার সকালে একটি বার্তা দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। তাতেই নতুন করে চর্চায় পরী মণি। সেই বার্তা অনুযায়ী, দুই বাংলার নায়িকা কি নতুন করে কোনও ঝামেলায় জড়ালেন? এক অজানা ব্যক্তির উদ্দেশে উগরে দেওয়া ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে তাঁর পোস্ট জুড়ে। যেখানে তিনি সাফ লিখেছেন, “পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই। অন্তত এত দিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব।” (সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রীর লেখা অপরিবর্তিত রাখা হল)।
পরী কি তা হলে ফের প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ালেন? কান পাতলে এমনই প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে। অজানা ব্যক্তির উদ্দেশে এ-ও জানাতে ভোলেননি অভিনেত্রী, আজীবন তিনি ওই ব্যক্তিকে ঘৃণাই করবেন এবং প্রকাশ্যে সেই ঘৃণার প্রদর্শনও করবেন।
সময় বিশেষে সমাজমাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে পরী মণি তাঁর অনুভূতি ভাগ করে নেন। একাধিক বার আনন্দবাজার অনলাইনকে সে প্রসঙ্গে তাঁর আপ্তসহায়ক জানিয়েছেন, অনুভূতিপ্রবণ মানুষটি বাহ্যিক ভাবে অভিনেত্রী, অন্তরে কবি। কার্যকারণ ছাড়াই তাঁর সেই ভাবনার প্রতিফলন ঘটে সমাজমাধ্যমে। কিন্তু এই প্রকাশ্যে ঘৃণা, এটাও কি নায়িকার কার্যকারণহীন বিশেষ কোনও অনুভূতির প্রকাশ? না কি নেপথ্যে কোনও বিশেষ ব্যক্তির প্রতি বিদ্বেষ লুকিয়ে? জানতে যোগাযোগ করা হয় তাঁর সঙ্গে। পরী যথারীতি ফোনে অধরা।
অভিনয়, দুই সন্তান সামলে সম্প্রতি নবরূপে প্রকাশিত বাংলাদেশের চর্চিত নায়িকা। তিনি নতুন মায়েদের জন্য নতুন পোশাক সম্ভার এনেছেন। ডিজ়াইনার বুটিক খুলেছেন। এত কিছুর পরেও বিতর্ক তাঁর নিত্য সঙ্গী! কখনও আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। কখনও তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে যায় ও পার বাংলার এই প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়ক শেখ সাদীর নাম। যিনি আদালতে পরীর জামিনের ব্যবস্থা করেছিলেন। সে সব পর্ব মিটতেই নায়িকা ফের শিরোনামে। আবারও তাঁর ব্যক্তিজীবন কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
অভিনেত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, সম্ভবত তাঁর সন্তান প্রবল জ্বরে আক্রান্ত। তাঁর লেখনী আভাস দিয়েছে, চিকিৎসার কারণে সম্ভবত একরত্তি হাসপাতালে। ভয়ে, চিন্তায় বেসামাল পরীকে রাত জাগতে হচ্ছে। তিনি লিখেছেন, “রাতজাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতন। তার উপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না। জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা— সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল, তাই না?” (সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রীর লেখা অপরিবর্তিত রাখা হল)।
আরও পড়ুন:
তিনি এখানেই থামেননি। আরও অভিযোগ, এই দায়িত্ব তখনই শৃঙ্খল মনে হয় যখন কেউ সুযোগ বুঝে বাচ্চার সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের ভিডিয়ো রেকর্ডে মিথ্যা অনুভূতি ভাগ করে নেন সমাজমাধ্যমে। পরীর দাবি, তাঁর সন্তানদের এই মানসিকতার ‘বাবা’র কোনও প্রয়োজন নেই। তিনিই একাধারে তাদের মা-বাবা। সেটা জেনেই ওরা বড় হচ্ছে।