গত আট বছর ধরে প্রবল অর্থনৈতিক চাপে ছিলেন উরফি।
এক বছর আগেও সঙ্কটে ছিলেন উরফি জাভেদ। ফ্যাশন নিয়ে নিরীক্ষা দূরে থাক, বলিউডের কিম্ভূত শৌখিনী তখন ঘুরে বেড়াতেন পরিচিতদের দরজায়। কারও কাছে টাকা, কারও কাছে পোশাক চেয়ে-চিন্তে ধার করে জীবনযাত্রার মান বজায় রাখার চেষ্টা চালাতেন উরফি।
বিগ বস্-এ প্রতিযোগী হলেন যখন, তখনও চলছে টানাটানি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীতের সারণি বেয়ে স্মৃতি রোমন্থন করলেন ২৪ বছর বয়সি টেলিভিশন তারকা।
জানালেন, গত আট বছর ধরে প্রবল অর্থনৈতিক চাপে ছিলেন। রিয়্যালিটি শো বিগ বসে যাওয়ার আগে পোশাক এবং টাকা ধার করেছিলেন। শো থেকে বেরিয়ে ফের ঋণে ডুবে যান।
তবু আশা ছাড়েননি। হার মানেননি ‘কসৌটি জিন্দগি কে ২’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার সুবাদে তিনি এখন পরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ। পাশাপাশি পোশাক এবং ফ্যাশন নিয়েও প্রতিনিয়ত পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শিরোনামে ছলে আসেন। অবমাননাকর কোনও কিছু দেখলে সে সবের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদও করেন। ইদানীং উরফি মানে মূর্তিমান প্রতিবাদও বটে। তাঁর বস্তা, কাচ কিংবা তারের তৈরি পোশাকও সমাজের গতানুগতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি বিদ্রূপ তুলে ধরে। তাই লোকে তাঁকে যতই বিদ্রূপ করুক, একেবারেই গায়ে মাখেন না তারকা। যা খুশি তা-ই পরে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। তাঁকে ছেঁকে ধরেন চিত্রগ্রাহকরা। হাসিমুখে পোজও দেন তাঁদের। তার পর আবার অদৃশ্য হয়ে যান। প্রায়ই তাঁকে বিমানবন্দরে দেখা গেলেও কোথায় যে যান আর কেনই বা কেউ জানে না। বড় পর্দায় অভিনয় না করেও রীতিমতো আইকন হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন উরফি।
তবে মনের দিক থেকে এখনও তিনি ঠিক ‘পাশের বাড়ির মেয়ে’। যতই উন্নতি করুন, অতীত ভোলেননি। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে বললেন, “আট বছর ধরে আমি এমন জীবনযাপন করছিলাম যেখানে আমার কোনও টাকা ছিল না। বিগ বসে যাওয়ার আগে আমি জামাকাপড় এবং টাকা ধার নিয়েছিলাম। এক সপ্তাহের বেশি তাতে চলেনি। আবার আমি ভিখারি হয়ে গিয়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy