তুষার কপূর।
প্রযোজক হিসেবে আপনার প্রথম ছবি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেল বলে কোনও আক্ষেপ রয়েছে?
মার্চ মাসে যখন সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেল, তখন প্রযোজক হিসেবে আমার যেমন চিন্তা হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু একটা সময়ের পর আমরা সকলেই বুঝতে পেরেছিলাম, এই খারাপ সময়টা অনেক দিন থাকবে। তাই পরিস্থিতির দাবি মেনে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে ছবি রিলিজ় করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তবে যে ভাবে ছবিটা দর্শক গ্রহণ করেছেন, তার পরে প্রযোজক হিসেবে আমার কোনও আফসোস নেই।
আপনার বোন একতা কপূর অনেক নতুন প্রতিভাকে সুযোগ দিয়েছেন। প্রযোজক হিসেবে আপনি নতুন অভিনেতাদের কতটা সুযোগ দেবেন?
একতার সঙ্গে আমার তুলনা করাটা বোধহয় এখনই ঠিক হবে না। একতা দীর্ঘ দিন ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। বহু নতুন ছেলেমেয়েকে সুযোগও দিয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই এখন তারকা। আমার সঙ্গে ওর কোনও তুলনা বা প্রতিযোগিতা চলে না। প্রযোজক হিসেবে ‘লক্ষ্মী’ আমার প্রথম ছবি। আরও কয়েকটি ছবি নিয়ে পরিকল্পনা ও কথাবার্তা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজও শুরু করব। আর আমি মনে করি, একটা ছবির কাস্টিং ঠিক হয় তার চিত্রনাট্যকে মাথায় রেখে। কে তারকা বা কে নবাগত, তা মাথায় রেখে নয়। আমি চেষ্টা করব, যাতে সব দিকে সমতা বজায় রাখতে পারি।
লকডাউনে ছেলে লক্ষ্যের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন আপনি। কী ভাবে সামলালেন ওকে?
অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা ছিল সেটা (হাসি)! লক্ষ্য এখনও খুব ছোট, সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং ছিল ওর অনলাইন ক্লাস। তবে আমরা দু’জনেই এখন সড়গড় হয়ে গিয়েছি। প্রথম প্রথম একটু অসুবিধে হত ঠিকই। মোটের উপর লকডাউনের পুরো সময়টা খুব ভাল ভাবে উপভোগ করেছি। লক্ষ্যের জন্মের পর থেকে এতটা সময় আমরা একসঙ্গে কখনও কাটাইনি আগে।
লক্ষ্য আর রবির (একতা কপূরের ছেলে) কী রকম সম্পর্ক?
লক্ষ্যের আচরণ একেবারে বড় দাদার মতো। রবির ব্যাপারে সে খুবই কেয়ারিং। আমরা বড়রা সামনে থাকলে খুব অধিকারবোধ দেখায় ভাইয়ের উপরে (হাসি)। ওদের দু’জনের বন্ডিং খুব পোক্ত।
প্রযোজক হিসেবে বাবার কোন ছবি আপনি রিমেক করতে চাইবেন?
যদি আমি কখনও সুযোগ পাই, তা হলে বাবার ফিল্ম ‘কারওয়াঁ’ এবং ‘ফর্জ়’-এর রিমেক করার ইচ্ছে রয়েছে। তবে ‘পরিচয়’, ‘গীত গায়া পাত্থর নে’, ‘খুদগর্জ়’-এর মতো ছবির রিমেক হওয়া উচিত নয়। বাবাকে নিয়ে কোনও হরর ফিল্মে কাজ করার ইচ্ছে আছে আমার। কিন্তু সেটা এখন কতটা সম্ভব হবে, জানি না। বাবা কোনও হরর ফিল্মে এখনও পর্যন্ত কাজ করেননি।
বেশ কিছু বছর হল আপনি স্তব করা শুরু করছেন। চ্যান্টিংয়ের এই অভ্যেস কি আপনার জীবনে কোনও পরিবর্তন এনেছে?
আমি দিনে এক ঘণ্টা করে চ্যান্ট করি রোজ। মন্ত্রোচ্চারণ মনকে ভিতর থেকে শক্ত করে। এক ধরনের দৃঢ়তা আনে। এর অনেক সুফল পেয়েছি আমার জীবনে। যে ধরনের জীবনযাত্রায় আমরা এখন অভ্যস্ত, তাতে স্থিরতার খুব প্রয়োজন। আর তা আনতে আমাকে সাহায্য করেছে এই সাধনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy