‘টনিক’ ছবির দৃশ্য।
টনিকের কী মহিমা! ‘৮০-তে আসিও না’ ধারণা মিথ্যে। মিথ ‘৮১-তেও ফেনিল বাথটাবে গা ভাসিও’!
এ রকম আরও আছে। চাইলে ৮০ পেরিয়ে আপনি পাহাড়ে চড়তে পারেন। মাঝ আকাশে বিবাহবার্ষিকী যাপন করতে পারেন। স্বচ্ছন্দে দু’পাত্তর পান করতে পারেন। জীবনসঙ্গিনীকে নিয়ে ভেসে যেতে পারেন যে দিকে মন চায়। শর্ত একটাই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা পাশে টনিককে থাকতে হবে।
বুধবার মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অভিজিৎ সেনের প্রথম ছবি ‘টনিক’-এর ট্রেলার। সেখানেই প্রতিটি দৃশ্যে জীবনের জয়গান। উপভোগ আর উদযাপনের হাতছানি। প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরী আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, টনিক-এর ঝলক প্রকাশিত হলেই নকলনবিশীর আরোপ যে মিথ্যে সেটা প্রমাণিত হবে। কোনও ভাবেই এই ছবি ‘বেলাশেষ’-এর কার্বন কপি নয়।
এবং সম্ভবত এই প্রথম ঠিক মতো ব্যবহৃত হলেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
৮১-তে এসে অভিনেতা বুঝিয়ে দিলেন, চিত্রনাট্য সহযোগিতা করলে বুড়ো হাড়েও ভেল্কি দেখানো যায়। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁকে এত দেরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আক্ষেপ নেই। তাঁকে ব্যবহার করা হল, এতেই তিনি খুশি। ছবিতে প্রবীণ অভিনেতা প্রতি দৃশ্যে নিজেকেই নিজে ছাপিয়ে গিয়েছেন। যখন তিনি দেবকে জড়িয়ে ধরে চোখের জলে ভেসে বলেছেন, ‘‘তুই যে সে টনিক নয় রে, তুই আমার প্রাণের টনিক!’’ কিংবা যখন নীল মুখোপাধ্যায়কে দাবড়ানি দিয়ে বলে উঠেছেন, ‘‘নিজেদের বিয়ের ১০ বছরে ব্যাংকক। আর বাপের বেলায় ছাদ!’’
বাকি এক এবং অদ্বিতীয় ‘টনিক’ দেব। ছবিতে তিনি চিরাচরিত নায়ক নন, অভিনেতা। তাঁর আর পরাণের বোঝাপড়া এই ছবির প্রাণভোমরা। পরাণের কথায়, ছবির সেট থেকে দেব সবাইকে মাতিয়ে রেখেছেন। সহ প্রযোজক হওয়ায় প্রচারের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে। দেবের ভাবনা থেকেই বিয়ের কার্ড দিয়ে প্রচার শুরু। প্রবীণ অভিনেতা রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘‘এত দুষ্টু ছেলে, প্রথমে সবাইকে ঘোল খাওয়ালো নিজের বিয়ের অপপ্রচার করে। ওর হবু শ্বশুরবাড়ির পর্যন্ত মাথায় হাত। পরে সবাই জানল, আমি শকুন্তলা বড়ুয়াকে বিয়ে করছি এই বয়সে! সে আর এক কেলেঙ্কারি।’’
দেব নিজে কী বলছেন? ট্রেলার মুক্তির পরেই ছিল সাংবাদিক বৈঠক। দেব সবার সামনে অকপটে বলেছেন, ‘‘অনেক ছবির মধ্যে কিছু ছবি বুকের কাছাকাছি থেকে যায়। তেমনই ছবি ‘টনিক’। অতনুদার এই ছবি আমার সেরা ছবিগুলোর অন্যতম।’’ তাঁর আরও দাবি, তিনি অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘বুনো হাঁস’ ছবিতে নিজেকে প্রথম ভাঙেননি। ‘দুই পৃথিবী’ বা ‘লে ছক্কা’তেও তিনি অন্য রকম। অভিজিতের ছবি আবার তাঁকে ভাঙল। এবং চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল, ‘টনিক’ আসলে ভালবাসার নব রূপ। যা যে কোনও মানুষের মধ্যে থাকতে পারে। যার ছোঁয়ায় ৮০-তেও যৌবন আসে।
২৪ ডিসেম্বর ছবি মুক্তি। ২৫ ডিসেম্বর দেবের জন্মদিন। ‘পাল্টা উপহার’ হিসেবে দেবের এই ছবি তাই নানা উপাদানে ঠাসা। মুচমুচে সংলাপ। যেমন, ‘তুমি তো ঘরে চারাপোনা, বাইরে তো মারাদোনা’, ‘শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা টনিকই ভরসা’, ‘নো প্যানিক ওনলি টনিক’। আছে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুর দেওয়া গান। গানের কথায় ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শ্রীজাত, প্রসেন। আবহে রাজা নারায়ণ দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy