টোটা রায় চৌধুরী
আফসোসে ভুগছেন টোটা রায় চৌধুরী! জীবনে অনেক কিছু পাওয়া হল না তাঁর, সামাজিক পাতায় আক্ষেপ অভিনেতার। কারণও নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়েছেন, ‘‘অফুরন্ত চাহিদার পেছনে দিনের পর দিন’’ দৌড়েছেন। লকডাউন শুরু হতেই ঘরবন্দি তিনি। তখনই টোটার উপলব্ধি, এ জীবনে কী কী পেলেন না তিনি! অভিনেতা ‘অসংযমী’, এমন দুর্নাম পরম শত্রুও দিতে পারবে না। ঘড়ি ধরে তাঁর জীবন চলে। অভিনেতাকে ঘিরে গুঞ্জনও নেই। বরং ক্রমশ তিনি বাংলা ছাড়িয়ে নিজেকে মেলে ধরছেন মু্ম্বই, দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায়।
তার পরেও কেন এই আক্ষেপ?
কাজের চাপে জীবনকে উপভোগ করতে না পেরে তাঁর এত মনখারাপ। অতিমারি, লকডাউন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ চোখে আঙুল দিয়ে টোটাকে জীবনের আসল মানে বুঝিয়ে দিয়েছে। নেটমাধ্যমে টোটা তাই অকপট, ‘কতকিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় কত সময় নষ্ট করেছি। বুঝিনি, সুন্দর জীবনের জন্য যা যা দরকার তার সবটা কাছেই আছে। উপলব্ধি করতে পারিনি, স্বাস্থ্য আর সুন্দর সম্পর্কই আসল সম্পদ’। প্রতি মুহূর্তে জীবন-মৃত্যুর অনবরত লড়াই দেখতে দেখতে তাঁর উপলব্ধি, ব্যস্ততা সরিয়ে যদি চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করতেন, আশপাশের মানুষের সঙ্গে প্রাণখুলে কথা বলতেন তা হলে এই আফসোসও তাঁর থাকত না।
নিজের জীবন থেকে পাওয়া ‘শিক্ষা’ নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেই নেটাগরিকেরা আপ্লুত। ১৮ হাজার অনুরাগী ভালবাসায়, শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে। তবে এত কিছুর পরেও ‘ফেলুদা’ আর ‘রোহিত সেন’ কিন্তু পিছু ছাড়েনি টোটার। সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তার ভাগ করে নেওয়া ছবি দেখে কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘২০২০-র ৯ ডিসেম্বরের ৪০৫তম পর্ব। ডিঙ্কার গায়ে হলুদের দিন হলুদ পাঞ্জাবিতে আপনি বিশেষ সাজে। এখনও ভুলতে পারিনি!’ কারওর চোখে ফেলুদা-রোহিত সেন মিলেমিশে একাকার, ‘ফেলুদা যখন প্রেমে পড়ে’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy