পরিবার আর মিষ্টিতেই নববর্ষ উদ্যাপন, নতুন বছরে রাহুলের খাতায় ডায়েট বাদ। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা সিরিয়ালের পরিচিত মুখ রাহুল দেব বসু। ২০২২ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর অভিনীত প্রথম ছবি ‘আয় খুকু আয়।’ এ ছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ ছবিটি। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে পড়াশোনা, তার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলচ্চিত্রবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিলাভ। ব্যাকগ্রাউন্ড শুনে যা-ই মনে হোক, নববর্ষের দিনটা একেবারে ঘোরতর বাঙালিয়ানায় কাটতে চান রাহুল। নতুন জামা, খাওয়াদাওয়া রয়েছে। তবে এই দিনটা বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে জুড়ে থাকতে চান রাহুল। তাঁর কথায়, ‘‘নতুন বছর মানে আমার কাছে পরিবার। ডায়েট কাটিয়ে মিষ্টি খাওয়া একটা অন্যতম উদ্দীপনা। ছোটবেলায় তো ভীষণ ভাল লাগত, বিভিন্ন জায়গা থেকে মিষ্ট আসত। হালখাতা করা। তবে আমার কাছে সব থেকে বাঙালিয়ানায় ভরপুর যে জিনিসটা, সেটা হল মা-বাবাকে প্রণাম করে নতুন বছরটা শুরু করা।’’
তবে বছর পয়লার দিন পাতে কী কী থাকছে? রাহুলের কথায়, ‘‘এই দিনে বাসন্তী পোলাও, মটন হতেই হবে। এ ছাড়াও চিংড়ির হরেক রকম পদ। আসলে এই দিনটা আমরা নানা ধরনের মাছের পদ খেতে ভালবাসি।’’
তা হলে এই বছরের এই একটা দিন পুরোদমে বাঙালি, তাই তো! অভিনেতা বলেন, ‘‘আসলে শুধু অনুষ্ঠান কিংবা দিন দেখে যে আমরা বাঙালি হই তা নয়, তবে এই দিনগুলোতে বাঙালিয়ানা উদ্যাপন করা খুব দরকার, আমি সে ভাবেই বড় হয়েছি।’’
ছোটবেলায় এই দিনটা কেমন ভাবে উদ্যাপন করতেন? অভিনেতা জানান, তাঁর বড় হয়ে ওঠা নিউ আলিপুর অঞ্চলে। তখনও পাড়া ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। তাই গানবাজনা, কবিতাপাঠ, নাটক— এ ভাবে ছেলেবেলায় বর্ষবরণ করতেন। পাশপাশি অভিনেতার আক্ষেপ রয়েছে। তিনি জানান, এখন সময় বদলেছে, পাড়াও আর নেই, সবটাই এখন ফ্ল্যাট কালচার।
এ বছর এই দিনটা কী করছেন? রাহুলের কথায়, ‘‘আলাদা করে কোনও কিছু পরিকল্পনা কিছু না। এই দিনটাতে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করি। তবে একটা সময় বাড়িতে বসে দুপুরে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দেখতাম। যেটা এখন অতটা হয়ে ওঠে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy