টালিগঞ্জে ছোট পর্দার শিল্পীদের প্রতিবাদ মঞ্চ। নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। রাজ্য ছাড়িয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। বিচারের দাবিতে রোজ পথে নামছেন মানুষ। শনিবার আর্টিস্ট ফোরাম এই ঘটনার প্রতিবাদে জড়ো হল। এ দিনের জমায়েতে উপস্থিত ছিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, দেবলীনা দত্ত, অর্জুন চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অনেকে।
দেবলীনা দত্ত বলেন, “ন্যায় না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ছাড়ছি না। ন্যায় আসবে কি, আসবে না এই প্রশ্নেই যাব না। এই জন্যই প্রতিনিয়ত আমরা প্রতিবাদ করে চলেছি। এর শেষ দেখে ছাড়ব। আমরা ন্যায় ছিনিয়ে নেব। এই ঘটনা থিতিয়ে যাবে না। যত দিন যাচ্ছে, অভিযুক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর যারা তাদের ঢাকছে, তারা আরও বড় অপরাধী।”
দেবলীনা আরও বলেন, “আসলে নারী, শিশু ও পশু কেউ নিরাপদে নেই। এমনকি পুরুষরাও নিরাপদ নন। তবে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীন নারী, শিশু ও পশু। ঝাড়গ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হাতির হত্যাকারীরাও গ্রেফতার হয়নি। সেখানেও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এই ভাবে যাঁরা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁদের আগে শাস্তি দেওয়া উচিত।”
জমায়েতে উপস্থিত অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, “এক জন সাধারণ মানুষ ও নাগরিক হিসেবে এই আরজি করের ঘটনা দেখে আমি লজ্জিত। এই ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে গোটা বিশ্বে, গোটা দেশে এবং গোটা রাজ্যে। ঘটনা একটা নয়। তবে আমরা এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট এই ঘটনার জন্য গর্জে উঠেছি। এই গর্জন সব সময় দরকার। খুব শীঘ্রই যেন এমন কিছু আইন তৈরি হোক যা আরও কঠিন। আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার। আমাদের একটাই দাবি, বিচার চাই এবং কড়া আইন আনা দরকার।”
অর্জুন আরও বলেন, “বিচার পেতে দেরি কেন হচ্ছে সেটা আমার প্রশ্ন। বহু বছর ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমাদের জন্মের আগে থেকে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। এটা নাকি ২১ শতক। কিন্তু আজও এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। সভ্যতার এই পরিচয়। যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা চাইলেই এই ঘটনার সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে।”
অভিনেতা দিগন্ত বাগচী বলেছেন, “আমাদের একটাই দাবি, বিচার চাই। আর কিছু চাই না। তদন্তের ভার এখন রাজ্যের হাতে নেই। সিবিআইয়ের হাতে। তাদের উপরে আস্থা আমাদের রাখতে হবে। নারকীয় ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সাজা হোক। বোনটা আর ফিরবে না। ওঁর বাবা-মায়ের কান্না আমরা রোজ শুনছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy