রাজন্যা হালদারের বিপরীতে কোন অভিনেতা? ছবি: সংগৃহীত।
বকখালি, বর্ষা আর প্রেমের আবহ। প্রথম ছবির কাজ শেষ করে এ বার রোম্যান্টিক মিউজ়িক ভিডিয়োয় রাজন্যা হালদার। বিপরীতে অভিনেতা ও ভ্লগার সায়ক চক্রবর্তী। রাজনীতির ময়দানের তুলনায় বিনোদন দুনিয়ায় বেশি ঝুঁকছেন? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, “একটা জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছি, এমন নয়। দু’দিকে সমান তালে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে গল্প ভাল হলে তবেই অভিনয় করব। সব ধরনের কাজ করার মানসিকতা নেই আমার।”
বাংলা ইন্ডাস্ট্রি থেকে কোনও ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন? রাজন্যা জানালেন, একটি ছবির কথাবার্তা চলছে। যদিও এই মুহূর্তে পরিচালক বা নায়কের নাম প্রকাশ করতে নারাজ তিনি। অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন তাঁর অনুপ্রেরণা। তাঁর অভিনয় দেখে বার বার মুগ্ধ হন এই নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রী। পাশাপাশি, অপর্ণা সেনের অভিব্যক্তিরও বড় অনুরাগী তিনি।
কোন নায়কের বিপরীতে দেখতে চান নিজেকে? লাজুক হেসে উত্তরে বললেন, “আমরা তো সেই প্রজন্ম, যারা ‘পাগ্লু’, ‘চ্যালেঞ্জ’ দেখে বড় হয়েছি। তাই মাননীয় সাংসদ ও আমাদের অত্যন্ত কাছের অভিনেতা দেবদার সঙ্গে কাজ করার খুব ইচ্ছে। তা ছাড়া জিৎদা, বুম্বাদার সঙ্গেও কাজ করতে পারলে ভাল লাগবে। ঋত্বিকদাও ব্যক্তিগত পছন্দের।” কোন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে? না ভেবেই তাঁর সটান জবাব, “কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ চক্রবর্তী।”
রাজনীতির ময়দানে গ্ল্যামারের প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু, একজন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনেও খানিক জৌলুস থাকা প্রয়োজন। অভিনেত্রী হিসাবে রাজন্যাকে কি জীবনযাত্রায় বদল আনতে হয়েছে? “নির্বাচনের সময় ও অন্যান্য সাংগঠনিক কাজে রোদে পুড়ে কাজ করতে হয়। ফলে ট্যান পড়ে যায়। তবে এখন যে হেতু বিনোদন দুনিয়ায় প্রবেশ করছি, নিজের যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করছি আমি। শুধু অভিনয়ের জন্য নয়, সার্বিক ভাবে নিজের শরীর ও ত্বকের যত্ন নেওয়া শুরু করেছি।”
মোদ্দা কথা, মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। সেটা রাজনীতির মাধ্যমেই হোক বা বিনোদনের মাধ্যমে, মত রাজন্যার। “গ্ল্যামারের প্রয়োজন, কিন্তু অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চাই”, বললেন তিনি। অন্য দিকে, স্বামী প্রান্তিক চক্রবর্তীর সঙ্গে দ্বিতীয় ছবির কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, “খুব বড় কাজ। তবে এখনই বিশদে কিছু বলতে পারব না। ক্রমশ প্রকাশ্য।”
‘এ মন অকারণ’ গানটি গেয়েছেন বর্ণালী মুখোপাধ্যায়। কথা ও সুর তাঁরই। মিউজ়িক ভিডিয়োর পরিচালনায় পূবালী মিত্র এবং অর্ঘ্যজিৎ দত্ত। সায়কের সঙ্গে পর্দার রসায়ন প্রসঙ্গে রাজন্যার বক্তব্য, “ভাল অভিজ্ঞতা। আমি নিশ্চিত, দর্শকের ভাল লাগবে।” অন্য দিকে, সায়ক চক্রবর্তীও বেজায় খুশি রাজন্যার সঙ্গে অভিনয় করে। রাজনীতিক রাজন্যা আর অভিনেত্রী রাজন্যার মধ্যে ফারাক কোথায়? উত্তরে সায়ক বললেন, “রাজনীতিবিদ রাজন্যা কেমন, তা জানি না। কিন্তু অভিনেত্রী হিসাবে ও ভীষণ মজার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy