কুণালের পোস্ট ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ইদানীং সমাজমাধ্যমে তাঁর বিভিন্ন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এ বার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের নিশানায় চলে এল পুজোর ছবির প্রচারকৌশল। পুজো যত এগোচ্ছে, শহরে পুজোর ছবির বিজ্ঞাপনের সংখ্যা বাড়ছে। আরজি কর আবহে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘টেক্কা’ ছবির একটি বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে ছবির নির্মাতাদের বিঁধলেন কুণাল।
সমাজমাধ্যমে ‘টেক্কা’র একটি হোর্ডিংয়ের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন কুণাল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছবির অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ক্যাপশন, ‘‘আমার মেয়েকে কে ফেরাবে?’’ কিন্তু ছবির এই বিজ্ঞাপনী প্রচারের কুণাল যে ব্যখ্যা করেছেন তা ঘিরে সমাজমাধ্যমে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটেছে। কুণাল তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, আরজি কর আবহকে কাজে লাগিয়ে নির্মাতারা ছবির প্রচার সারতে চাইছেন। অবশ্য আরজি করেরর ঘটনার সঙ্গে সৃজিতের ছবির কোনও মিল নেই, সে কথা কুণাল তাঁর পোস্টেই স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘যদিও ছবিটির বিষয়বস্তু অপহরণের, তবু, এই আরজি কর আবহে ট্র্যাজেডিকে কাজে লাগিয়ে সিনেমার প্রোমোশনের কৌশল, একটু চোখে লাগছে।’’
উৎসবে যোগদানকে ঘিরে সমাজমাধ্যমে চলছে চর্চা। সেখানে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, তিনি উৎসবে ফিরবেন না। কিন্তু, পুজোয় তাঁর ছবি মুক্তি পাচ্ছে। নাম না করেই কুণাল লেখেন, ‘‘‘উৎসবে ফিরব না’ অথচ ‘সিনেমার পোস্টারে ফিরব’, এটাও দ্বিচারিতা।’’ কুণাল তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, সৃজিতের ছবি তাঁর পছন্দের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছবির এই প্রচারকৌশলকে তিনি সমর্থন করছেন না। কুণাল লেখেন, ‘‘যতই ছবির থিম হোক, সবাই বুঝবেন, কোন আবেগকে প্রচারে ব্যবহার করা হল।’’
‘টেক্কা’ ছবিতে স্বস্তিকা ছাড়াও রয়েছেন দেব। সৃজিত ও স্বস্তিকা শুরু থেকেই আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে দেব উৎসবে যোগ দেওয়ার পক্ষে কথা বলেছেন। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেব বলেছিলেন, ‘‘উৎসব মানে এই নয় যে, কাউকে প্রতিবাদ করতে আটকানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরও তো কাজ করতে হবে। সকলে তো রোজ চাকরিতে যাচ্ছেন। কত মানুষের রুজিরুটি জড়িয়ে। আমাদের কাছে পাঁচ দিনের খরচ মনে হলেও কিছু মানুষের সংসার চলে এই পাঁচ দিনের রোজগারে।’’
সম্প্রতি, অভিনেত্রী মৌসুমী ভট্টাচার্যের একটি সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতে অভিনেত্রীকে সমাজমাধ্যমে আক্রমণ করেন কুণাল। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করলে, তাঁকেও একহাত নেন কুণাল। ‘টেক্কা’র প্রচার নিয়ে বুধবার কুণালের পোস্ট প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে সৃজিতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy