নাটকের মানুষজন আর পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের একত্র যাপন, মঞ্চে পাঁচটি দিন। একদিকে দেবশঙ্কর হালদার, সোহিনী সরকার, পদ্মনাভ দাশগুপ্ত, শঙ্কর চক্রবর্তী। অন্য দিকে, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। ২৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল— অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ ছ’দিন এঁদের হাত ধরে মঞ্চে উড়ে বেড়াবে নানা রঙের স্বপ্ন। আনন্দবাজার ডট কমকে এ কথা জানিয়েছেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তাঁর কথায়, “রাজের উদ্যোগে ছ’দিনের নাট্যোৎসবের আয়োজন করছে নৈহাটি ব্রাত্যজন। উৎসব সার্থক করতে দেবশঙ্কর, দেবাশিস আর আমি কোমর বেঁধে নেমে পড়েছি।”
যাঁরা নাট্যামোদী তাঁদের কাছে এই খবর নিঃসন্দেহে বড় খবর, মত পার্থের। জানিয়েছেন, উদ্বোধনে ব্রাত্যের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন ইন্দ্রনীল সেন। বিশেষ অতিথি সুজিত বসু। উদ্বোধনের দিন মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘দাদার কীর্তি’। ওই দিন নাটকের ১০০ তম অভিনয়। পরের দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রোজ দু’টি করে নাটক দেখতে পাবেন দর্শক। তালিকায় ‘আন্তিগোনে’, ‘বসন্তবিলাপ’, ‘টিনের তলোয়ার’, ‘ফেরারি ফৌজ’-এর মতো নাটক রয়েছে। দু’টি নাটকের অবসরে নাটক নিয়ে আলোচনা করবেন রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, সৌমিত্র মিত্র, সুমন মুখোপাধ্যায়, পৌলমী বসুর মতো বিদগ্ধ জনেরা।
আরও পড়ুন:
পাঁচ দিন কি তা হলে রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন পার্থ? না হলে সব দিক সামলাবেন কী করে?
প্রশ্নের জবাবে পার্থর দাবি, “ঠিক যে ভাবে অন্য সময় করি। বরাবর দুটো দিক সামলেই চলেছি। অভিনয় আমার নেশা, রাজনীতি পেশা। পেশাজীবনে টিকে থাকতে তাই অভিনয় ভরসা। বলতে পারেন, টাটকা অক্সিজেন।” তাঁর মতে, এই ধরনের অনুষ্ঠান মন ভাল করে দেয় শহরবাসীদেরও। বাংলার সংস্কৃতিও এতে সমৃদ্ধ হয়। নাটক, আলোচনার পাশাপাশি থাকবে গুণীজন সম্মাননা। সম্মান জানানো হবে দেবেশ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক নাট্য ব্যক্তিত্বকে।