The iconic love story of evergreen Hema Malini and Dharmendra dgtl
Bollywood
বিয়ে ঠিক জিতেন্দ্রর সঙ্গে, কিন্তু হেমার মনে জয়ী হলেন চার সন্তানের বাবা ধর্মেন্দ্রই
শোনা যায়, সে দিনের মাদ্রাজ, আজকের চেন্নাইয়ে হেমা-জিতেন্দ্রর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। জিতেন্দ্রর পরিবারেও পাত্রী হিসেবে হেমা ছিলেন বিশেষ পছন্দের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় সেই বিয়ে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৫২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
দু’জনের প্রথম ছবি ১৯৭০ সালে। আট বছরের দুরন্ত প্রেমের পরে বিয়ে। দু’জনের বাড়ির তীব্র আপত্তি উপেক্ষা করেই। বাড়ি থেকে বহু চেষ্টা করেও হেমা মালিনীর বিয়ে জিতেন্দ্রর সঙ্গে দিতে পারেনি। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্নসুন্দরীকে জিতে নেন ধর্ম সিংহ দেওল, বিবাহিত তারকা ধর্মেন্দ্র।
০২১২
ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রথম ছবি ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭০ সালে। দু’জনে একসঙ্গে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেগুলির মধ্যে অন্যতম ‘শরাফত’, ‘নয়া জমানা’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘দোস্ত’, ‘জুগনু’, ‘আজাদ’, ‘দিল্লাগি’, ‘শোলে’ অন্যতম।
০৩১২
সাতের দশকে ধর্মেন্দ্র ও হেমা, দু’জনেই কেরিয়ারের শীর্ষে। পর্দার মতো পর্দার বাইরেও সে সময় তাঁদের প্রেমের রসায়ন তুঙ্গে। ড্রিম গার্লকে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ না করে পারেননি সহঅভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কিন্তু প্রথম দিকে হেমা নিজের আবেগ প্রকাশ করতেন না।
০৪১২
ইন্ডাস্ট্রিতে হেমার গুণমুগ্ধ ছিলেন আরও অনেক নায়ক। সহঅভিনেতা জিতেন্দ্র, সঞ্জীব কুমারেরও তাঁর প্রতি দুর্বলতা ছিল। পাত্র হিসেবে জিতেন্দ্রকে পছন্দ ছিল হেমার বাবা মায়েরও।
০৫১২
ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে একেবারেই মত ছিল না হেমার মা জয়া লক্ষ্মীর। তিনি তড়িঘড়ি জিতেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। যাতে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে সরিয়ে আনা যায় হেমাকে।
০৬১২
শোনা যায়, সে দিনের মাদ্রাজ, আজকের চেন্নাইয়ে হেমা-জিতেন্দ্রর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। জিতেন্দ্রর পরিবারেও পাত্রী হিসেবে হেমা ছিলেন বিশেষ পছন্দের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় সেই বিয়ে।
০৭১২
অবশেষে ১৯৮০ সালে বীরু-বাসন্তীর চার হাত এক হল। শোনা যায়, দু’জনেই বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। কারণ নায়ক হয়ে ওঠার আগে ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কউরের সঙ্গে মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্রর।
০৮১২
প্রকাশ-ধর্মেন্দ্রর চার ছেলেমেয়ে। দুই ছেলে সানি ও ববি দেওল। দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। ধর্মেন্দ্র-প্রকাশের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। সব জেনেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন এবং বিয়ে করেছিলেন ড্রিম গার্ল।
০৯১২
তবে বিয়ের জন্য ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি অস্বীকার করেন হেমা ও ধর্মেন্দ্র দু’জনেই। তাঁদের বিয়ে হয়েছিল আয়েঙ্গার মতে। কারণ, হেমা মালিনী ছিলেন তামিল আয়েঙ্গার সম্প্রদায়ের।
১০১২
১৯৮১ সালে জন্ম ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রথম সন্তান এষার। তার চার বছর পরে জন্ম অহনার। দু’জনেই এখন ব্যস্ত নিজেদের সংসার ও সন্তান নিয়ে। এষা প্রথম দিকে কিছু অভিনয় করলেও পরে ইন্ডাস্ট্রিতে আর নিজের কেরিয়ার এগিয়ে নিয়ে যাননি।
১১১২
ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী যতটাই লাইমলাইটে, তাঁর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ ততটাই প্রচারের আড়ালে। দীর্ঘ কয়েক দশক পরে সম্প্রতি তাঁর ছবি শেয়ার করেছেন সানি দেওল। লিখেছেন, ‘আমার মা, আমার পৃথিবী’। ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতাকেও দেখা যায়নি প্রচারমাধ্যমে।
১২১২
সব জেনেও বিবাহিত ধর্মেন্দ্রকে কেন বিয়ে করেছিলেন? হেমা বলেন, ধর্মেন্দ্র চুপচাপ ও শান্ত স্বভাবটাই তাঁর ভাল লাগত। তা ছাড়া ধর্মেন্দ্র মধ্যে তিনি খুঁজে পেতেন উদ্দাম ও এক পাগলপ্রায় প্রেমিককে। এখনও ধর্মেন্দ্রর মধ্যে তিনি খুঁজে পান প্রথম দিনের দেখা প্রেমিককেই। (ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া)