শাহরুখ খানের ছবি ‘জওয়ান’ নিয়ে অনুরাগীদের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় উঠেছিল। কিন্তু সেই ছবির একটি বিশেষ সংলাপ নিয়ে আপত্তি ছিল স্বয়ং চিত্রনাট্যকারের। সংলাপটি ছিল সেনা জওয়ানদের নিয়েই। চিত্রনাট্যকার আপত্তি জানালেও সেই সংলাপ বাদ দিতে রাজি হননি শাহরুখ। বরং এই সংলাপের প্রেক্ষিতেই প্রেক্ষাগৃহ করতালিতে ভরিয়ে দিয়েছিলেন দর্শক।
সেই সংলাপটি ছিল, “এক সেনা জওয়ান এই প্রশ্ন কখনওই করেন না, দেশ তাঁদের জন্য কী করছে। বরং তাঁর প্রশ্ন, দেশের জন্য তিনি নিজে কী কী করতে পারেন?” এই সংলাপ নিয়েই আপত্তি ছিল চিত্রনাট্যকার আব্বাস টায়ারওয়ালার। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির বক্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই সংলাপ রাখতে চেয়েছিলেন শাহরুখ।
আব্বাস টায়ারওয়ালা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানান, শাহরুখের সঙ্গে এই তর্কে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। আব্বাস বলেছিলেন, “আমি এত পুরনো সংলাপ ছবিতে রাখতে চাইনি। খুবই বাঁকা চোখে আমি ওই সংলাপটি দেখছিলাম। দর্শকের যদি ওই সংলাপ পছন্দ হয়ে থাকে, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সিদ্ধার্থ আনন্দ, আদিত্য চোপড়া, শ্রীধর রাঘবনের। ওঁরা এই সংলাপ নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এই দৃশ্যে এই সংলাপের চেয়ে ভাল কিছু হতে পারে না বলে ওঁরাই মনে করেছিলেন।”
আরও পড়ুন:
শেষ পর্যন্ত একটি দৃশ্যে এই সংলাপ রাখা হয়। গোটা দৃশ্য গ্রহণও করেন দর্শক। ২০২৩ সালে তিনটি ছবি পর পর মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখের। ‘পাঠান’-কে বলা হয় শাহরুখের প্রত্যাবর্তন ছবি। বহু দিন পরে বড় পর্দায় এসেছিলেন তিনি। নিমেষে ঝড় তুলেছিলেন। সেই বছর তাঁর মু্ক্তিপ্রাপ্ত দ্বিতীয় ছবি ছিল ‘জওয়ান’। সেই ছবি নিয়ে যেন দ্বিগুণ উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল দর্শকের মধ্যে। যদিও তৃতীয় ছবি ‘ডাঙ্কি’ সে ভাবে সাড়া ফেলতে পারেনি বক্স অফিসে।