প্রচলিত রয়েছে, ছোট পর্দার ধারাবাহিক নাকি কেবলই মহিলাদের জন্য। তাই নারীচরিত্র কেন্দ্রে থাকলে তার ফলাফল ভাল হয়। কিন্তু ব্যতিক্রমী হিসেবে দৃষ্টান্ত তৈরি করল ধারাবাহিক ‘পরশুরাম আজকের নায়ক’। প্রথম সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় জায়গা করে নিল এই ধারাবাহিক।
ধারাবাহিকের কয়েকটি ঝলক ইতিমধ্যেই চর্চার কেন্দ্রে। ঝলকে দেখা যাচ্ছে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে। দু’জনেই পরস্পরের থেকে কিছু গোপন করার চেষ্টা করছে। স্ত্রীর ভূমিকায় তৃণা সাহা। বাস্তবেও কি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কিছু ক্ষেত্রে গোপনীয়তা বজায় রাখা উচিত? না কি সব কিছুই জলের মতো স্বচ্ছ থাকা দরকার? এই প্রসঙ্গে তৃণা মনে করেন, কারও বিষয়ই একশো শতাংশ জানা সম্ভব নয়। এমনকি বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কেও কিছু জিনিস অজানাই থাকে।
অভিনেত্রী বলেছেন, “একটা মানুষের পক্ষে তো সবটা জানা সম্ভব নয়। স্বামী-স্ত্রী শুধু নয়। বাবা-মায়েরাও আমাদের বিষয়ে তো সব কিছু জানেন না। সেটা সম্ভবই না। আমি মনে করি, কিছু বিষয় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে আসা ভাল। আমারও এমনই ভাল লাগে। সব কিছু একেবারে জেনে ফেললে, আগ্রহও কমতে থাকে।”
স্বচ্ছতার প্রসঙ্গেও অভিনেত্রী বলেন, “কোনও কথা গোপন করা মানেই প্রতারণা করা নয়। সম্পর্কে স্বচ্ছতা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু একটা মানুষের সম্পর্কে ধাপে ধাপে জানতে পারলে তার সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ে। আমরাও তো দিনের পর দিন উন্নত থেকে উন্নততর হই। আমাদের মানসিক বিকাশ হয়। একটা বয়সের পরে বাবা-মাকেও তো কত কথা বলা যায় না। তার মানে তো এই নয়, বাবা-মায়ের সঙ্গে আমরা প্রতারণা করছি।”
আরও পড়ুন:
তৃণার অভিনীত চরিত্রটি খুবই গোছানো। ধনী পরিবারের মেয়ে। গুছিয়ে সংসার করার গুণ রয়েছে তার। স্বামীকে ভালবাসে বলে দুই কামরার ফ্ল্যাটে সংসার পেতেছে সে। তবে এই চরিত্রের আরও বেশ কিছু দিক রয়েছে। সেগুলি ক্রমশ প্রকাশ্যে আসবে বলে জানান তৃণা নিজেই। অভিনেত্রীর কথায়, “পরশুরাম নিজে ইতিবাচক কারণের জন্যই লড়ছে। তার স্ত্রীও ইতিবাচক কারণের জন্যই লড়ছে কি না, সেটা দেখার বিষয়।”
পুরুষকেন্দ্রিক ধারাবাহিকে অভিনয় নিয়ে তৃণা বলেন, “এর আগেও আমি পুরুষকেন্দ্রিক ধারাবাহিক ‘খোকাবাবু’-তে অভিনয় করেছি। আসলে ধারাবাহিকের বিষয়বস্তুটাই আসল। দর্শকের কেমন লাগছে গল্পটা, সেটাই আসল। সকলে বলে কাকিমা, দিদিমারা ধারাবাহিক দেখেন। কিন্তু আমি ‘খোকাবাবু’র সময় দেখেছিলাম, বহু পুরুষ দর্শক রয়েছেন। এ বারও তাই দেখছি। টিআরপিতেও ভাল ফল করেছে। দাদা সব সময়ই গল্পের দিকে জোর দেন। তাই দর্শকেরও ভাল লাগছে।”