টেলিপাড়ার লোকনাথ বাবা, বাহা এবং ঝিলিক যোগ দিলেন তৃণমূলে।
তৃণমূল ভবনে দেখা গেল টেলিপাড়ার লোকনাথ বাবা, বাহা এবং ঝিলিককে। যাঁদের আসল নাম সৌপ্তিক চক্রবর্তী, রণিতা দাস এবং শ্রীতমা ভট্টাচার্য। এঁরা তিন জন গিয়েছিলেন তৃণমূলে যোগ দিতে। টেলিপাড়া এবং টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আপাতত শাসক শিবিরে যোগদানের ঢল নেমেছে। শনিবার সেই তালিকায় যুক্ত হল এই তিন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম। তাঁদের সঙ্গেই তৃণমূলে যোগ দেন আরেক অভিনেত্রী দিশা রায়চৌধুরী।
ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরর হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন এবং যুব তৃণমূলের নেতা সোহম চক্রবর্তী। সৌপ্তিক অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সমর্থক। এবার মানুষের পাশে থাকবেন বলেই সরাসরি তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আধ্যাত্মিক গুরু লোকনাথ ব্রহ্মচারীর চেহারা মনে করতে চাইলেই এখন ছোটপর্দার বহু দর্শকের মাথায় আসে সৌপ্তিকের চেহারাই। সে অর্থে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি। সেই জনপ্রিয়তা কি রাজনীতির ময়দানে তাঁকে সাহায্য করবে? লোকনাথ সৌপ্তিক ব্রহ্মচারীর জবাব, ‘‘লোকনাথ বাবার যেমন ঐশ্বরিক ক্ষমতা ছিল, তা তো আর আমাদের নেই। তবে মানুষের কাজ করার জন্য রাজনীতিই একমাত্র রাস্তা।’’
ছোটপর্দার ‘বাহা’ রণিতা দাস অবশ্য শুধু এ সব কারণ দেখিয়েই থেমে থাকেননি। তাঁর যোগদানের কারণ আরও ‘রাজনৈতিক’। এনআরসি সমর্থনকারীদের বিরোধিতা করবেন বলেই সক্রিয় ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাহা। প্রসঙ্গত, বাহা তথা রণিতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট কাছের এবং ঘনিষ্ঠ। মমতা ‘বাহা’ চরিত্রে মুগ্ধ। পাশাপাশিই তিনি গুণগ্রাহী ওই চরিত্রের অভিনেত্রী রণিতারও।
মা ধারাবাহিকের ‘ঝিলিক’ (শ্রীতমা) অবশ্য তৃণমূলের বৃত্তে পরিচিত মুখ। বহু সময়েই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাশে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সর্বদা বিবিধ কারণে আলোচনায়-থাকা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকে জানেন। তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়ে শ্রীতমা বলছেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলাম এবং আছি। নানা কাজও করেছি। আনুষ্ঠানিকতাটুকু ছিল না। সেটাই এখন হল।’’
তবে তৃণমূলে যোগদানের পিছনে তিন জনই একটি কারণ বার বার উল্লেখ করেছেন— নারীর সম্মান। টলিউডের দেবলীনা দত্ত বা সায়নী ঘোষের সঙ্গে যা হয়েছে, তা নিয়ে এই তিন অভিনেতা-অভিনেত্রীই ক্ষুব্ধ। তিন জনেরই অভিযোগ, মহিলাদের যথাযথ সম্মান দিতে পারে না বিজেপি। শ্রীতমার কথায়, ‘‘একজন শিল্পীর অনেক বেশি নিরাপত্তা দরকার। সেটা এই দল থেকেই পেয়েছি। তাই অন্য কোনও দলের কথা ভাবতেই পারতাম না।’’ সৌপ্তিকও বলছেন, ‘‘বাংলায় মহিলাদের অনেক বেশি সম্মান করা হয়। বিজেপি-র সংস্কৃতি তার পরিপন্থী। ফলে রাজনৈতিক ভাবে এই দলের বিরোধিতাই করব।’’ প্রসঙ্গত, সায়নীর সঙ্গে সম্প্রতি বিজেপি-র প্রথমসারির নেতা তথা ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের সরাসরি টুইট-যুদ্ধ হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। যার ভিত্তিতে সায়নীর বাড়ির নীচে পুলিশি প্রহরা মোতায়েন করা হয়েছে বলেই খবর। অন্যদিকে, দেবলীনাকে সরাসরি গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy