Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Taslima Nasrin

Aye Khuku Aye: ‘দোসর’ দেখেই মনে হয়েছিল প্রসেনজিৎ ভাল অভিনয় জানেন, ‘আয় খুকু আয়’-এর ঝলক দেখে দাবি তসলিমার

‘আয় খুকু আয়’-এর প্রচার ঝলক দেখে মুগ্ধ তসলিমা নাসরিন। ফেসবুকে ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং  তসলিমা নাসরিন।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং তসলিমা নাসরিন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২২ ১৪:০৬
Share: Save:

অমিতাভ বচ্চনের পর তসলিমা নাসরিন। ‘আয় খুকু আয়’ ছুঁয়ে গিয়েছে লেখিকাকেও। রবিবার স্টার থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রচার ঝলক। বাবা-মেয়ের এই গল্পে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখে অভিভূত তসলিমা। ফেসবুকে লিখেছেন— ‘দোসর’ দেখেই মনে হয়েছিল তিনি ভাল অভিনয় জানেন। ধুমধাড়াক্কা ছবিগুলোয় নিশ্চয়ই তাঁর অভিনয় করার কোনও সুযোগ থাকে না।’

ছবিতে প্রসেনজিৎ ট্রেনের হকার নির্মল মণ্ডল। চিত্রনাট্য মেনে তাঁর সাজ জৌলুসহীন। বয়স্ক চেহারা, যত্নের ছাপ নেই তাতে। যেন চিরন্তন বাবার প্রতীক। এই ছবিতে ‘বুম্বাদা’ তথাকথিত রুপোলি পর্দার নায়ক নন। ভাল অভিনেতা। সে কথাও তসলিমা জানিয়েছেন। তাঁর লেখনীতে— ‘আয় খুকু আয়’ ছবির ট্রেলার দেখে তো আমি মুগ্ধ। প্রসেনজিৎ একেবারেই ভাবেননি তাঁকে যে হিরোর মতো দেখাচ্ছে না। তিনি হিরো হতে চাননি, ভাল অভিনেতা হতে চেয়েছেন। তাঁকে কুৎসিত দেখাচ্ছে, বুড়ো দেখাচ্ছে, দেখাক, তিনি অভিনয় করে দেখিয়ে দেবেন।’

তসলিমার মতো লেখিকা তাঁর কাজের প্রশংসা করছেন। কী অনুভূতি পরিচালকের? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে শৌভিক কুণ্ডুর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘ছোট বয়স থেকে তসলিমার লেখা পড়ছি। সেই তিনিই আমার কাজের প্রশংসা করলেন। এই আনন্দ কি এক কথায় বলে বোঝানোর? খুবই ভাল লাগছে।’’ অনুরাগীদেরও এই আনন্দের অংশীদার করে নিতে তসলিমার পোস্ট ফেসবুকে নিজের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রসেনজিৎ-ও দেখেছেন সাহিত্যিকের পোস্ট। তিনিও আপ্লুত, কৃতজ্ঞ।

ট্রেলারের প্রচারেও ছিল অভিনবত্ব। যাঁদের ঘিরে গল্প, পর্দার সেই বাবা-মেয়ে— প্রসেনজিৎ এবং দিতিপ্রিয়া রায় সে দিন সাজে, অভিনয়ে ‘চরিত্র’ হয়ে উঠেছিলেন। যেন সত্যিই গ্রাম থেকে আসছেন— এই ভাব ফোটাতে হাতিবাগান চত্বরে হেঁটেছেন। দরদাম করে রোদচশমাও কিনেছেন। তারও প্রশংসা করতে ভোলেননি তসলিমা। তাঁর মতে, ‘ছবিটির বিজ্ঞাপন ছিল অভিনব। তিনি আর তাঁর মেয়ে উত্তর কলকাতার রাস্তায় দিনেদুপুরে হাঁটতে লাগলেন কথা বলতে বলতে। রাস্তার লোকেরা তো অবাক। মোবাইলে ছবি তোলার ধুম শুরু হল। বাপ-মেয়ে ও সবে মোটেও নজর দিলেন না। ফুটপাতের সানগ্লাসের দোকান থেকে মেয়েকে দরদাম করে সানগ্লাস কিনে দিলেন বাপ। এই বাপ-মেয়ে ‘আয় খুকু আয়’ ছবির বাপ-মেয়ে।’

অন্য বিষয়গুলি:

Taslima Nasrin prasenjit chattopadhay Aay Khuku Aay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE