স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সরব স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর প্রতিবাদ শুধু সমাজমাধ্যমে আটকে নেই। রাস্তায় নেমে বিচারের দাবি করেছেন তিনি। দৃপ্ত কণ্ঠে তুলেছেন ‘আজ়াদি’ ধ্বনি। কখনও নেটাগরিকের একাংশ নাকি তাঁকে ‘বাম’ বলে কটাক্ষ করছেন। কখনও আবার তাঁরাই তাঁকে তৃণমূল সমর্থক বলে তির্যক মন্তব্য করেছেন। এমনই দাবি স্বস্তিকার। এই বিষয়ে এ বার মুখ খুললেন অভিনেত্রী নিজেই।
‘কমরেড’ বললে বাম শিবিরের সমর্থক আর সহকর্মী সায়নী ঘোষকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানালেই তৃণমূল! স্বস্তিকা ব্যঙ্গের সুরে জানান, তাঁকে এই ভাবেই নানা সময়ে মানুষ কটাক্ষ করে এসেছেন।
স্বস্তিকা তাঁর পোস্টে লেখেন, “কাউকে কমরেড বলে সম্মোধন করলে আমি নিশ্চিত লাল। এক দশক বা তার একটু কম বেশি আগে-পরে, এক জোড়া চটির ছবি দিয়েছিলাম বলে আমি সবুজ। এর মাঝে দুটো চকোলেটও নিয়েছিলাম। আমার সহকর্মী সায়নীকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলাম। ওহ্ সরি, এখন আবার সবুজ না বলে নতুন শব্দ হল ‘চটিচাটা’।”
এখানেই শেষ নয়। স্বস্তিকা ব্যঙ্গ করে আরও লেখেন, “‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গানটা গাইলে আমি আবার গেরুয়া। ‘আজ়াদি’ স্লোগান তুললে আমি জেএনইউ। ওহ্ না না! ওরা তো কোনও দল নয়, ভুলে যাই। আর কিছু বাদ পড়ল ? কংগ্রেস বোধ হয় কারও সাতেপাঁচে থাকে না। ওরা কোনও দিন গালাগাল দেয়নি। মনে হয়, ওরা এই সব আইটি সেল জাতীয় ব্যাপারে খরচা কম করে।”
সুর চড়িয়ে অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, সমাজমাধ্যমে তাঁদের উদ্দেশে একের পর এক কটাক্ষ, মিম, ব্যঙ্গচিত্র ইত্যাদি বানানোর টাকা আসে কোথা থেকে? তিনি লেখেন, “আমাদের করের টাকায় কি আমরাই গালাগাল খাচ্ছি? যাঁরা প্রতিবাদ করছেন না, এ সবের আবার কী দরকার ভেবে, তাঁরা এই ব্যাপারটা একটু ভেবে জানাবেন তো। কমেন্ট সেকশন, যেখানে গালাগাল দিচ্ছেন সেখানে জানিয়ে দেবেন, ওটা সর্বদা খোলা থাকবে। আগেই ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম।”
ফের ব্যঙ্গ করে স্বস্তিকা বলেন, “কাল সকাল থেকে আবার ফুটেজ খেতে রাস্তায় নামতে হবে। তাই আর সময় পাব না। এমনিও ঘুম আসছে না, ভাবলাম কাজটা সেরে ফেলি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy