গোলাপ ফুল ছাপ ও়ড়নার পাহাড়ি মেয়েটা সাইকেল নিয়ে হাঁটছে নৈনিতালের রাস্তায়। পথ আটকে গান গাইছে এক নাছোড়বান্দা ছেলে। বেলুন, ফুলের মিশেলে আদুরে রোদ্দুর গায়ে মাখছে টিম ‘ধুমকেতু’। চোখের সামনে শুটিংয়ে ব্যস্ত দেব-শুভশ্রী। কিন্তু আদতে যেন ফিরে পাওয়া তাঁদের হারিয়ে যাওয়া রিয়েল লাইফের খুনসুটি। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন ‘গানে গানে যদি আমার মনের কথা তোমার কাছে পৌঁছে যায়…’ চায়ের কাপ হাতে শুরু হল আড্ডা। ধরা দিলেন এক অচেনা শুভ।
কেমন বর পছন্দ?
হঠাত্ বর কোথা থেকে এল?
না, মানে এটা তো এই ইউনিটে আপনার জন্য কমন কোয়েশ্চেন।
(চোখ পাকিয়ে) ছবিটার মধ্যে আছি, এখন থাক না।
আরে থাকবে কেন? বলুন না প্লিজ।
লভ ইজ ইম্পর্ট্যান্ট। ভাল বন্ধু হতে হবে। তবে আর এ নিয়ে প্রশ্ন করবেন না কিন্তু।
দেবের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসে তো ছবির ব্যাপারে গল্প হলই। তাই এ বার একটু অন্য শুভকে খুঁজছি আমরা।
বেশ তো বলুন। তবে বিয়ে আর বর বাদ দিয়ে (পাহাড় কাঁপিয়ে হেসে উঠলেন নায়িকা)।
টানা শুটিং শিডিউলে নৈনিতালে এসে কাকে সবচেয়ে বেশি মিস করছেন?
আমার জিলাটো। চিউহুয়াহুয়া কুকুর। বাড়িতে থাকলে ওর সঙ্গেই বেশি সময় কাটে।
আচ্ছা দেব তো সাংসদ। আপনিও রাজনীতিতে আসবেন নিশ্চয়ই।
দেখুন দেব আলাদা মানুষ। আমি আলাদা। ও রাজনীতি করছে বলে আমাকেও করতে হবে নাকি?
বিষয়টা তেমন নয়। আপনি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বেশ ঘনিষ্ঠ। দিদি আপনাকে কখনও বলেননি?
না। আমার মনে হয়, অভিনেতাদের গায়ে কোনও রং লাগানো উচিত নয়। মানুষ হিসেবে ওঁনাকে ভালবাসি, সম্মান করি। উনি ক্ষমতায় আছেন বলে ওঁনার কাছে যাই এমন নয়।
এমন কোনও চরিত্র রয়েছে মনে হয় যেটা পেলে আপনি দারুণ অভিনয় করতেন?
অনেক আছে। মাদার ইন্ডিয়া, বরফির ঝিলমিলের চরিত্র, ককটেলের দীপিকা পাড়ুকোনের চরিত্র— সব এখন মনে পড়ছে না। তবে মনে হয় এগুলো পেলে ভাল হত। আসলে অভিনেতাদের কখনও আত্মতুষ্ট হওয়া উচিত নয়।
কাজ নিয়ে কি আপনি অবসেসড?
অবশ্যই। তবে কাজের বাইরেও বেড়ানো, আড্ডা মারা নিয়ে আমার ভয়ানক অবসেসড।
বন্ধু দেব না অভিনেতা দেব, কাকে বেশি পছন্দ?
অভিনেতা দেব।
কেন?
কারণ অভিনেতা হিসেবে দেব অনেক পরিণত। আর বন্ধুত্ব…(কথা শেষ করলেন না শুভ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy