সুস্মিতা সেন ও রেনে
ট্রোলিং, অপমান, অবমাননা— কী ভাবে লড়াই করতে হয় এ সবের সঙ্গে? পরামর্শ দিলেন সুস্মিতা সেনের মেয়ে রেনে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সে এই যুদ্ধের হাতিয়ারের কথা লিখলেন রেনে। তিনি নিজেও এই লড়াইতে সামিল।
স্টোরিতে লিখেছেন, ‘যে যাই বলুক, তার ভিত্তিতে নিজেকে প্রশ্ন করবে না কোনও দিন। যারা আঙুল তোলে, সেটা তাদের সমস্যা, তোমার নয়। তোমাকে ভুল বুঝতে দাও, তোমাকে নিয়ে নানা কথা বলতে দাও। কিন্তু তুমি ভালবেসে যাও’।
কয়েক মাস আগে নেটমাধ্যমে তিনি একটি খেলা খেলছিলেন তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে। ‘আস্ক মি এনিথিং’ অর্থাৎ যার যেমনটা ইচ্ছে, তেমনটাই জিজ্ঞেস করতে পারেন রেনেকে। এক নেটাগরিকের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি নিজের জন্মদাত্রী মায়ের সম্পর্কে কিছু জানেন?’ রেনে জানিয়েছিলেন, ‘’আমি জানি, আমার মায়ের হৃদয় থেকে জন্ম হয়েছে আমার। সেটাই আমার বাস্তব’।
২০০০ সালে রেনেকে দত্তক নিয়েছিলেন সুস্মিতা সেন। তখন অভিনেত্রীর বয়স মাত্র ২৪ বছর। রেনের ১৮ বছর বয়সে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তিনি চাইলে তাঁর জন্মদাত্রী মা ও জন্মদাতা বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু রেনে সে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, সুস্মিতা সেন-ই তাঁর কাছে সব। রেনের মতে, ‘জন্ম দেওয়া’ ও ‘দত্তক’ নেওয়া— এই দু’টি শব্দের ভাবার্থে তেমন কোনও ফারাক আদপে নেই।
‘সুট্টাবাজি’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিতে কাজ করেছিলেন সুস্মিতা কন্যা। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘তিনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তাঁর মা তাঁকে সে শিক্ষাই দিয়েছেন।’’ রেনের কথায় সুস্মিতা সেনের পরামর্শ, ‘‘যা-ই হয়ে যাক, পড়াশোনাটা শেষ করতে হবে। যাতে কেউ তোমাকে তাঁর থেকে কম না মনে করে।’’ আর মায়ের দেখানো পথেই চলতে চান রেনে। পড়াশোনা শেষ করে নিজের ছোট ছবিটি নিয়ে পরিচালকদের কাছে প্রস্তাব রাখতে চান। মায়ের হাত ধরে না, নিজের পায়ে ভর দিয়ে চলতে চান এই গ্ল্যামারের রাস্তায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy